|
|
|
|
পাহারায় টেন্ডার ঝাড়গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পুলিশি প্রহরায় টেন্ডার খোলা হল ঝাড়গ্রামে।
পুরএলাকার দশটি উন্নয়ন-কাজের জন্য সম্প্রতি টেন্ডার ডেকেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার টেন্ডার ফর্ম জমা দেওয়া ও টেন্ডার খোলার দিন ছিল। বুধবার রাতে শহরের সুভাষপল্লি এলাকার বাসিন্দা সিপিএম সমর্থক এক ঠিকাদারের বাড়িতে তৃণমূলের কিছু লোকজন চড়াও হয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বুধবার রাতে ওই ঠিকাদারের স্ত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে তৃণমূলের কর্মীরা গালিগালাজ করে হুমকি দেন যে, টেন্ডারে অংশ নিলে তাঁর স্বামীকে খুন করা হবে। টেলিফোনে ওই মহিলা থানায় ঘটনাটি জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় পুলিশ টহল দেয়। বৃহস্পতিবার তিন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ঠিকাদারের স্ত্রী।
এ দিন গোলমালের আশঙ্কায় পুরভবনের ভিতরে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জনা পঞ্চাশেক ঠিকাদার টেন্ডারে অংশ নেন। ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে টেন্ডারগুলি খোলা হয়। প্রায় তিন দশকেরও বেশি বামেদের দখলে থাকা ঝাড়গ্রাম পুরসভায় এই প্রথম বার পুলিশ মোতায়েন করে টেন্ডার ফর্ম জমা নেওয়া ও খোলার ব্যবস্থা করা হল। এ দিন অবশ্য কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল সম্পাদক প্রদীপ সরকারের বক্তব্য, “তৃণমূল আশ্রিত কিছু ঠিকাদার গত ৩১ জানুয়ারি পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক বংশীবদন প্রামাণিকের অফিস ঘরে ঢুকে তাঁকে যথেচ্ছ গালিগালাজ করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৪ ফেব্রুয়ারি পুরবোর্ডে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ওই ঠিকাদারেরা ক্ষমা না চাইলে তাঁদের টেন্ডার ফর্ম দেওয়া হবে না। ওই ঠিকাদারেরা ক্ষমা চাওয়ায় তাঁদের টেন্ডার ফর্ম দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরই তৃণমূল আশ্রিত ওই ঠিকাদারেরা অন্য ঠিকাদেরদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দিতে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই আমরা এ দিন পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছিলাম।”
পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের আনন্দমোহন পণ্ডা বলেন, “গত তিরিশ বছর ধরে টেন্ডারের নামে প্রহসন করে একতরফা ভাবে সিপিএম ও সিপিআই নেতা-কর্মীদের কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|