নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সাফল্যটা নিজের সঙ্গে ভাগাভাগি করার সময়টা পেলেন কোথায়? মাঠে সতীর্থরা আর মাঠের বাইরে কোচ, কর্তা, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি, ভক্তরা কিছুতেই তাঁকে একা ছাড়তে রাজি নন। দফায় দফায় চলল অভিনন্দনের পালা। মোবাইল ফোনের ইনবক্সেও এসে জমা পড়ল অগুনতি টেক্সট মেসেজ। এমনটা হয়েছিল সে দিনও, ১১ মাস আগে, গত বারের বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালের পর। যে জায়গায় গত বছর শেষ করেছিলেন, সেই জায়গা থেকেই এ বছর শুরু করলেন জাতীয় ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট।
ভারতীয় দলের হয়ে খেলা দুই বোলার দলে থাকতেও তাঁর বোলিংই জেতাল বাংলাকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়ান ডে-তে পাঁচ উইকেট কখনও নেননি, এ বার নিলেন। তবু গত বছর ফাইনালে তাঁর পারফরম্যান্সকেই এর চেয়ে এগিয়ে রাখবেন, জানালেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খেলার পর বাড়ি ফিরে লক্ষ্মী বললেন, “ওই ম্যাচটাতে জিতে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। আমি যেমন ভাল বল করেছিলাম, তেমন ভাল ব্যাটও করেছিলাম। আজ তো তেমন কিছু হয়নি। তাই সেদিনের পারফম্যান্সটাই ওপরে রাখব। তবে এ দিনেরটা অবশ্যই আমার সেরা পারফরম্যান্সের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবে।” দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা প্রসঙ্গে বললেন, “মনোজ, ঋদ্ধি তো ভালই ব্যাট করেছে। আমার মনে হয় না, ব্যাটিং খারাপ হয়েছে। সকালের দিকে উইকেটটা পেসারদের পক্ষে বেশ সহায়ক ছিল বলেই বোধহয় কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। তবে দিনের শেষে দল জিতেছে, এটাই বড় কথা।” একটা সময়ে যে ম্যাচে হারের আশঙ্কা করছিলেন, তা স্বীকার করে নিয়ে লক্ষ্মী বলেন, “হ্যাঁ, শুধু হার নয়, ওরা বোনাস পয়েন্ট নিয়ে যাবে বলেও মনে হচ্ছিল। তখন মনোজকে এনে অবস্থা সামাল দিই। আমার মন বলছিল ও-ই পারবে।” ইডেনে এ দিনের অন্য ম্যাচে অসম আট উইকেটে হারাল ত্রিপুরাকে। |