|
|
|
|
চন্দ্রকোনা ২ ব্লক |
ঘরছাড়াদের ফেরানো নিয়ে আবারও সর্বদল |
অভিজিৎ চক্রবর্তী • চন্দ্রকোনা |
পরিবর্তনের একুশ মাসেও ঘরছাড়াদের হয়নি কোনও পরিবর্তন। ঘরছাড়া সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের গ্রামে ফেরানোর দাবি জানিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক গুরুপদ দত্ত সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, মানবাধিকার কমিশনের কাছে। এলাকার প্রাক্তন এই বিধায়কের অভিযোগ, বর্তমান রাজ্য সরকার ঘরছাড়াদের ফেরানোর বিষয়ে গড়িমসি করছে। এতে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের শতাধিক সিপিএম সমর্থক (যাঁদের মধ্যে মহিলাও রয়েছেন) ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। অভিযোগ, ২০ মাস কেটে গেলেও শাসক দলের অত্যাচারে এখনও তাঁরা ঘরে ঢুকতে পারছেন না। একাধিক বার সবর্দল বৈঠক সত্ত্বেও প্রশাসন উদ্যোগী হয়নি বলে সিপিএমের অভিযোগ। গত বুধবার চন্দ্রকোনা ২ বিডিও আবার একটি সর্বদল বৈঠক ডাকেন। উপস্থিত ছিলেন প্রধানদলগুলির নেতারা। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে স্থির হয়, ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরতে চাইলে প্রশাসন সব রকম সাহায্য করবে। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “বৈঠক হয়েছে। দেখা যাক, কী ভাবে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো যায়।”
এখনও ওই ব্লকের প্রায় ১০৭ জন ঘরছাড়া। মূলত ব্লকের ছ’টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ভগবন্তপুর ১ ও ২, বসনছড়া এবং কুঁয়াপুর এই চারটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা ঘরছাড়া। এর মধ্যে ভগবন্তপুর ১ ও ২ পঞ্চায়েতে সংখ্যাটা ৭ মহিলা-সহ প্রায় ৭০ জন। এদের মধ্যে আট-দশ জনের নামে থানায় মামলা চলছে। যদিও তাঁরা জামিনে মুক্ত। দীর্ঘ দিন পার হলেও প্রশাসন ঘরে ফেরানোর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ ঘরছাড়ারা। এত দিন ধরে তাঁরা কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ দলীয় অফিসে, আবার কেউ পেটের টানে অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক গুরুপদ দত্তকে স্মারকলিপিতে জানান আয়ের পথ বন্ধ থাকায় অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাঁদের হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে সুরাহা না হলে তাঁরা আদালতে যাবেন।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারী বলেন, “কিছু মানুষ ঘরছাড়া। প্রশাসনিক ভাবে বৈঠকও হয়েছিল। কিন্তু এখনও কেন তারা ঘরছাড়া, তা নিয়ে মন্তব্য করব না।” কিন্তু, দাবি আর আশ্বাসে মাসের পর মাস কেটে গিয়েছে বসনছড়া পঞ্চায়েতের শিমলা গ্রামের নির্মল মুখোপাধ্যায়, ভগবন্তপুর ১ পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরের তাহালা কাজি, নুর মহম্মদ মল্লিকদের। তাঁদের ঠিকানা এখনও সিপিএমের চন্দ্রকোনা জোনাল অফিস। এ ছাড়াও চন্দ্রকোনা শহর ও সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের আত্মীয়ের বাড়িতে থাকা লাহিরগঞ্জের মায়া পান, কুঁয়াপুরের শ্যামগঞ্জের মহুয়া মণ্ডল, কৃষ্ণপুরের দেলুয়ার প্রামাণিক, মহেশপুরের সায়রা খাতুনরা বলেন, “এই ভাবে আর কত দিন! আমরা তো মরতে বসেছি।” বুধবারের সর্বদল প্রসঙ্গে গুরুপদবাবু বলেন, “এমন বৈঠক বহু বার হয়েছে। ঘরে ফেরার পর, ফের বহু লোককে ঘর ছাড়তে হয়েছে। আগে পুলিশ-প্রশাসন কথা দিক যে, ঘরে ফেরার পর কোনও সমস্যা হবে না। তাছাড়া, পুলিশ-প্রশাসনের তরফে তাঁদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা না করলে কেউ নিজে থেকে ঘরে ফিরবেন না।”
ব্যাডমিন্টন। ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা হয়ে গেল মেদিনীপুর শহরের রামকৃষ্ণনগর উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে। তিন দিনের এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল সোমবার। এ বার ছিল দ্বিতীয় বর্ষ। প্রীতি ম্যাচে যোগ দেন মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত, সদর বিডিও অয়ন নাথ। |
|
|
|
|
|