|
|
|
|
আমরা-ওরা বিভেদ নেই সুষমার জন্মদিনে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ভালবাসার দিন আজ। এই দিনেই একষট্টি পেরোলেন লোকসভার বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ।
সকাল থেকেই সফদরজঙ্গ লেনের বাড়িতে শুভেচ্ছার ঢল। এলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী থেকে রবিশঙ্কর প্রসাদরা। রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ীরা না থাকায় টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানান।
শুধু কি দলের শুভেচ্ছা? সকালেই ফোন করেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। নিজের এডিসিকে দিয়ে ফুল পাঠান। টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানান মনমোহন সিংহ, সনিয়া গাঁধীও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে, সুষমার প্রতিবেশী কংগ্রেসের নেতা জনার্দন দ্বিবেদী, রাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণস্বামী, মায় মুলায়ম সিংহ যাদবও ফোন করে শুভেচ্ছা জানান। আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার তো সটান হাজিরই হন সুষমার বাড়িতে।
বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের যতই রাজনৈতিক সংঘাত থাক, সুষমার জন্মদিনে সৌজন্যের এক অভূতপূর্ব আবহ তৈরি হল আজ, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যেটি ক্রমশ বিরল হতে চলেছে। এক সময় জ্যোতি বসু ও সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মধ্যে যে বন্ধুত্ব ছিল, সিপিএমের জমানা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সেই সৌজন্যের অবক্ষয় হয়েছে। বিরোধী দলে থাকার সময় তৃণমূল সিপিএমের ডাকা অনেক বৈঠক বয়কট করেছিল। ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের অনেক নেতাই সিপিএমকে সামাজিক বয়কটের কথা বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধরে মারার’ কথা বলছেন, কখনও পুলিশকে ধমকে ‘চাবকানো’র কথা বলছেন।
কিন্তু দিল্লির রাজনীতিতে সৌজন্যের উষ্ণতায় এখনও ক্ষয় ধরেনি। জওহরলাল নেহরুর আমল থেকেই দিল্লির অলিন্দে এই সৌজন্যের সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। যমুনায় অনেক জল গড়িয়েছে, রাজনীতির পালাবদলও হয়েছে। কিন্তু দিল্লির এই সংস্কৃতি এখনও অম্লান। আজ সুষমার জন্মদিনে রাজধানী ফের তার সাক্ষী হল। সুষমার কথাতেই, “আমরা রাজনৈতিক ভাবে তাদের বিরোধী। কিন্তু শত্রু তো নই।” বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেনের মতে, রাজনীতিতে লড়াই থাকবেই। সামাজিক পরিচয়ও তো রয়েছে। সেখানে আমরা-ওরা নেই। তাঁর কথায়, “ঈদের দিন আমার আমন্ত্রণ এখনও রক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের সামাজিক অনুষ্ঠানেও আমরা যাই।” |
|
|
|
|
|