|
|
|
|
কমিশনের কড়া নজরদারিতে নির্বাচনে উৎসবের মেজাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
উৎসবের মেজাজে, শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হল ত্রিপুরার ভোটগ্রহণ পর্ব। সকাল থেকেই বুথের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন। রোদ মাথায় নিয়েই শয়ে শয়ে নারী-পুরুষ, তাঁদের পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে বুথের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেনি অবাঞ্ছিত কোনও ব্যক্তি। দিনের শেষে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আশুতোষ জিন্দল জানান, আশা করা হচ্ছে মোট ভোটের হার ৮৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। ফল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ভোট পড়েছিল ৯১.৩ শতাংশ।
রাজ্যের ৮টি জেলার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৩০১৮টি বুথে আজ সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। আজকের ভোটে ২৪৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। হাইপ্রোফাইল বুথ ছিল আগরতলার শিশুবিহার স্কুল। মুখ্যমন্ত্রী সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ সেখানে এসে ভোট দিয়ে যান। জিন্দল বলেন, ‘‘সারা রাজ্যেই আজকের ভোটপর্ব শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে। দু’একটি ছোটখাট অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া কোথাও কোনও বড় অশান্তি হয়নি।’’
সোনামুড়া, ধর্মনগর, ঋষ্যমুখ, যুবরাজ নগর-সহ বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন ৩৫-৪০টি ইভিএম মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলি ঠিক করে দেওয়া হয়। আগরতলা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের বুথে বিকেল চারটের পরও ভোটাদাতাদের বিশাল লাইন চোখে পড়ে। সচিবালয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার বলেন, ‘‘সারা রাজ্যেই বেশ কয়েকটি বুথে বিকেল চারটের পরও ভোটারদের লাইন রয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।’’ রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ বুথের হিসাব অনুযায়ী, গড় ভোটদানের হার ৯০ শতাংশের বেশি।
বাকিগুলির হিসাব এখনও আসেনি। কোনও কোনও বুথে সন্ধ্যে সাতটার পরও ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানান নির্বাচন দফতরের আধিকারিক চন্দন সরকার।
এ দিকে, শহরের বাইরে, খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ তদন্তে নামে। জিন্দল জানান, ‘‘এলাকা থেকে পুলিশ কয়েকটি হ্যান্ড-গ্রেনেড উদ্ধার করেছে।’’ এ দিকে, ভোট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের নির্বাচন কেন্দ্র ধনপুরের দিকে রওনা হয়ে যান। ভোট দেওয়ার পর তিনি জানান, ‘কে বলছে পরিবর্তন? বামফ্রন্ট নিশ্চিত সরকার গঠন করছে।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার জন্য রাজ্যের শান্তিকামী, উন্নয়নকামী, সম্প্রীতিকামী ভোটদাতাদের অভিনন্দন।’’ একই ভাবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আজকের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে রাজ্যবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা আশাবাদী, এই সাড়া কংগ্রেস এবং সহযোগীদের পক্ষেই যাবে। আমাদের আশা, তাঁদের ভোট কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের পক্ষেই যাবে। পরিবর্তন হচ্ছেই।’’ |
|
|
|
|
|