হাইকোর্টে জামিন পেলেন রূপনারায়ণপুরের পলিটেকনিক কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণে ধৃত ছাত্রনেতা সাম্য মণ্ডল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি সুবল বৈদ্যের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু তাঁর বর্ধমান জেলায় ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর রূপনারায়ণপুরের ওই কলেজে ছাত্র সংসদ অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদক-পানীয়ে আচ্ছন্ন করে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে ১২ অক্টোবর অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনায় অভিযুক্তরা হল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তথা সংসদের সধারণ সহ-সম্পাদক টিএমসিপি-র সাম্য মণ্ডল, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অভি ঘোষ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মিথিলেশ চৌহান ও ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী বিজয় যাদব। ১৩ অক্টোবর পুলিশ বিজয় যাদবকে গ্রেফতার করে। ১৪ অক্টোবর কলেজের অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হয়। ঘটনায় জড়িত তিন ছাত্র-ছাত্রীকেও সাসপেন্ড করা হয়। ১৭ অক্টোবর হুগলি থেকে গ্রেফতার করা হয় অভি ঘোষকে। ৩০ অক্টোবর ধানবাদ স্টেশন চত্বর থেকে সাম্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ নভেম্বর ঝাড়খণ্ড থেকেই ধরা পড়ে মিথিলেশ চৌহান।
সাম্যর জামিন পাওয়ার খবর শুনে বৃহস্পতিবার অভিযোগকারিণীর বাবা বলেন, “বিচার ব্যবস্থার উপরে আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। ভবিষ্যতে যাতে আর এই রকম ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশা রাখি।” সিপিএমের বারাবনি জোনাল সম্পাদক অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এমন ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ। বিচারব্যবস্থা নিশ্চয়ই উপযুক্ত শাস্তি দেবে।” বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। মন্তব্য করা উচিত নয়। আইন নিজের পথে চলবে।”
সাম্যর আইনজীবী সোমশুভ্রা গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “জামিনের শর্ত হিসেবে সাম্য বর্ধমান জেলায় ঢুকতে পারবেন না। সপ্তাহে তিন বার তাঁকে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখাও করতে হবে।” |