নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কালিম্পংয়ে জনসভার ডাক দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বুধবার বিকালে বিমল গুরুঙ্গের উপস্থিতিতে দার্জিলিংয়ের পাতলেবাসে বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্ত নেন মোর্চা নেতৃত্ব। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কালিম্পংয়ের ডম্বরচকে ওই জনসভা হবে। মঙ্গলবার কালিম্পংয়ে লেপচাদের অনশন ভঙ্গ করে ফেরার পথে আটমাইলে মোর্চা সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের গাড়ি। ঘটনার পর মোর্চার শীর্ষনেতাদের একজন বিনয় তামাং সহ বেশ কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তা নিয়ে মোর্চা সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।এদিন বৈঠকের পর বিনয় তামাং জানান, কালিম্পংয়ে ছয় লক্ষ মানুষকে জমায়েতের লক্ষ্য রেখেছেন তারা। সে লক্ষ্যে পাহাড়ের তিন মহকুমার সর্বত্র প্রচার শুরু করা হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দার্জিলিং থেকে কালিম্পংয়ের দিকে রওনা হবেন মোর্চা সমর্থকরা। যুব মোর্চার দার্জিলিং টাউন কমিটির সদস্যসরা ওই দিন পদযাত্রা শুরু করবেন। এর পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি জনসভার দিন দার্জিলিং সিংমারি থেকে ছয় হাজার বাইকে দু’জন করে মোর্চা সমর্থক কালিম্পংয়ে যাবেন। এ ছাড়া পাহাড়ের তিন মহকুমার সমস্ত এলাকা থেকে গাড়ি নিয়ে মোর্চা সমর্থকরা জনসভায় যোগ দেবেন। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার পাহাড়ের মানুষদের মধ্যে বিভাজন তৈরি চেষ্টা করছে। সে জন্য লেপচা উন্নয়ন পর্ষদের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরব। গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হবে।” মোর্চার এক শীর্ষ নেতা বলেন, “পুলিশ শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা করে ঠিক করেনি। তাতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে জিটিএ’র সংঘাত আরও তীব্র আকার নেবে।” মঙ্গলবার কালিম্পংয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর গাড়িতে হামলার পর মোর্চার শীর্ষস্তরের নেতা বিনয় তামাং, কাজিন ভুটিয়া, স্যামুয়েল গুরুঙ্গ, কল্পনা তামাং, যুব মোর্চা নেতা বিনয় ঘিসিং সহ আটজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও অনেক মোর্চা কর্মী হামলার সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর গাড়ি আটকানো, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, গায়ে হাত দেওয়া সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “ওই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
কালিম্পংয়ের বিধায়ক তথা মোর্চার প্রচার সচিব হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, “মামলার খবর আমি জানি না। আর ওইদিন কোনও হামলা হয়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। সেখানে বিনয় তামাং ছিল কি না আমি জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।” |