কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্রকে উত্তেজনা সৃষ্টি হল উত্তর ২৪ পরগনার দু’টি কলেজে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার হাবরার শ্রীচৈতন্য কলেজ ও অশোকনগর নেতাজি শতবার্ষিকী কলেজে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এসএফআই কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে টিএমসিপি সমর্থকেরা তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। নেতাজি শতবার্ষিকী কলেজে ছাত্র পরিষদ কর্মীদেরও মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় কচুয়া মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে এসএফআই। এসএফআইয়ের হাবরা জোনাল কমিটির সম্পাদক দীপাঞ্জন সাহা বলেন, “নেতাজি শতবার্ষিকী কলেজে আমাদের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। মারধরও করা হয়। অন্যদিকে, হাবরা শ্রীচৈতন্য কলেজে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে আমাদের ঢুকতে দেয়নি টিএমসিপি। এর প্রতিবাদে আমরা দু’টি কলেজেই নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ছাত্র পরিষদ নেতা প্রবীর মজুমদারের অভিযোগ, “আমাদের কর্মীদের জোর করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার কাগজে সই করানো হয়।”
অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। হাবরা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তারক দে ও ছাত্র নেতা বুবাই বসু বলেন, “শ্রীচৈতন্য কলেজে এসএফআইয়ের লড়াই করার ক্ষমতাই নেই।” তাঁদের দাবি, এসএফআই মনোনয়নই তোলেনি। ওরা চাইলে তাঁরাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। এদিন সকাল থেকেই শ্রীচৈতন্য মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হাজির ছিল পুলিশবাহিনী। কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল বলেন, “এসএফআই কর্মীদের কেউ বাধা দিয়েছে বলে শুনিনি।” যদিও এসএফআইয়ের অভিযোগ, “পুলিশই আমাদের বলেছিল মনোনয়ন জমা না দেওয়ার জন্য।” পুলিশের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় সূত্রের খবর, বুধবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কলেজে ডিওয়াইএফ কর্মীদের সহযোগিতায় জনা কয়েক এসএফআই কর্মী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিলে টিএমসিপি কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। তবে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। |