|
|
|
|
জামিন এবিজি-র কাজহারা ১৪ জনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
প্রায় এক মাস জেলবন্দি থাকার পর জামিনে মুক্ত হলেন এবিজির কাজহারা শ্রমিকেরা। হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় হলদিয়া উপ-সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান ১৪ জনই।
১৫ জানুয়ারি ‘বেঙ্গল লিডস’-২ উদ্বোধন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়া যান। সে দিনই এবিজি-র মতো সংস্থাকে হলদিয়া বন্দর থেকে বিতাড়িত করে শিল্প সম্মেলন করার যৌক্তিকতা কী এই প্রশ্ন তুলে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে সুতাহাটায় মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিলেন এবিজি-র কাজহারা শ্রমিকেরা। পুলিশ অবশ্য তাঁদের অনুমতি দেয়নি। সুতাহাটার নন্দরামপুরে ওই শ্রমিকেরা মিছিলের জন্য জড়ো হতেই পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শেখ সিরাজ-সহ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। মিছিলে যোগ দিতে আসার পথে বাজকুলের কাছে আটক করা হয় কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডাকে। কাজহারা শ্রমিকেরা দুপুরে ফের মিছিল করতে গেলে পুলিশ জমায়েতে লাঠি চালায়। গ্রেফতার করা হয় আইএনটিইউসি-র জোনাল সভাপতি আরিফ আহমেদ, নূর আলম-সহ আরও ১৪ জনকে। আদালতে তোলা হলে প্রথমে গ্রেফতার তিন জন জামিন পান। কিন্তু পরে গ্রেফতার হওয়া ১৪ জন ছাড়া পাননি। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের গায়ে হাত, সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের মতো বেশ কিছু ধারায় মামলা রুজু করে সুতাহাটা পুলিশ।
সরকার পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল, ধৃতদের জামিনে মুক্তি দিলে পুনরায় অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে। ডিভিশন বেঞ্চ সরকার পক্ষের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়নি। গত সোমবার তাঁদের জামিনে মুক্তি দেয় হাইকোর্ট। এ দিন হলদিয়া মহকুমা আদালতে সেই জামিননামা জমা দেন শ্রমিক পক্ষের আইনজীবী। তা দেখে এসিজেএম দেবকুমার সুকুল ‘রিলিজ অর্ডার’ দেন। জেল থেকে বেরিয়ে নূর আলম, রহিম মল্লিক, সামশেদ আহমেদ খানেরা বলেন, “পেটের তাগিদে কাজের দাবিতে আন্দোলন করছিলাম ২৬ কিলোমিটার দূরে। পুলিশ মিথ্যা মামলায় আমাদের জেলবন্দি করেছিল। কার নির্দেশে পুলিশ এই সব করল তার জবাব দিতে হবে। আমরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাব।” |
|
|
|
|
|