|
|
|
|
জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
অজান্তেই তাঁদের জমি অধিগ্রহণ হয়েছে অভিযোগে বুধবার দুপুরে সুতাহাটা বিডিও অফিসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় কৃষ্ণনগর এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা।
স্থানীয় ও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৬২ সালে দোরো কৃষ্ণনগর বাণীমন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বার্থে এলাকার প্রায় ২ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার। যদিও তখন ওই জমির দখল নেয়নি বিদ্যালয়। সম্প্রতি ওই জমির দাবি করে প্রশাসনে দরবার করেন বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমলেশ চক্রবর্তী। এরপরই ওই জমির ৬৯ জন ‘মালিক’কে শুনানির জন্য নোটিস পাঠায় সুতাহাটা ১ ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিক। সেই মতো এ দিন জমির ‘মালিকে’রা তাঁদের যাবতীয় নথি-সহ ওই অফিসে দেখা করেন। সেখানে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে জমিটি অধিগৃহীত বলে সরকারি ভাবে জানানো হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, অধিগ্রহণের বিষয়টি জানা নেই। দলিল তাঁদের নামেই রয়েছে। এমনকী ইতিমধ্যেই কিছু জমির মালিকানা বদলও হয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে ওই জমিতে বাস করছেন অনেকে। জমির খাজনাও প্রদান করছেন নিয়মিত। বিক্ষোভকারীদের তরফে শেখ সইফুদ্দিন, বৃহস্পতি বাগ, শেখ আর্মান আলিরা বলেন, “এত দিন বাস করছি। কেউ ২০১১ সালে জমি কিনে বাড়ি করেছি। এখন বলছে জমি ৫০বছর আগে অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে।” স্থানীয় অমিতাভ মণ্ডল বলেন, “বাবা মারা যাওয়ার পর এই জমি আমি পেয়েছি। সেই সময় সাক্ষী হিসেবে তৃণমূলের কমলেশ চক্রবর্তী নিজে সাক্ষর করেছিলেন। এখন উনি-ই স্কুলের জমি বলে চাইছেন।”
কমলেশবাবুর দাবি, “জমি বিদ্যালয়েরই। বামেরা কারচুপি করে ওই জমি দখলে রেখে দিয়েছিল। আমরা সেটা এখন ধরতে পেরেছি।”
কিন্তু অধিগৃহীত এই জমি কী ভাবে কেনাবেচা হয়ে গেল, তার কোনও সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছে। সুতাহাটার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক তরুণকুমার মণ্ডল বলেন, “তখন অবিভক্ত মেদিনীপুর ছিল। তাই কাগজপত্রে অসুবিধা হচ্ছে। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না।” তবে, হলদিয়ার বিশেষ জমি অধিগ্রহণ আধিকারিক চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “সরকারি পদ্ধতি অনুযায়ীই ওই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নিয়ম কার্যকর হবে। যদি কেউ জমি কেনাবেচা করে থাকেন তবে তা অবৈধ।” |
|
|
|
|
|