চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর লড়াইয়ের শুরুতেই অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পেল জুভেন্তাস এবং প্যারিস সাঁ জাঁ। সেল্টিকের বিরুদ্ধে জুভেন্তাসের ৩-০ জয় মসৃণ ভাবে এলেও ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে প্যারিস সাঁ জাঁ ২-১ জিতেও স্বস্তিতে রইল না।
ডেভিড বেকহ্যামের নতুন ক্লাব প্যারিস সাঁ জাঁ-র ভাগ্যে ম্যাচের অন্তিম লগ্নে গোল হজম করা তো থাকলই। কিন্তু সবচেয়ে বড় অঘটন, পরের মাসে ঘরের মাঠে ফিরতি ম্যাচে দলের অন্যতম তারকা জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচকেই পাবেন না প্যারিস কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি। কেন? না, বিপক্ষ মিডফিল্ডার হোসে আন্দ্রেস গুয়ার্দাদোকে বিপজ্জনক ট্যাকল করায় এ দিন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হল সুইডিশ তারকাকে। তাই খুবই চিন্তিত আন্সেলোত্তি। ইব্রাহিমোভিচের লাল কার্ড নিয়ে ম্যাচের পরে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, রেফারির সিদ্ধান্তে মোটেও সন্তুষ্ট নন। |
ইব্রাহিমোভিচকে লাল কার্ড। ছবি: রয়টার্স
|
জুভেন্তাস কোচ আন্তোনিও-র অবস্থান যেন আন্সেলোত্তির উল্টো মেরুতে। শেষ আটে যাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী তিনি। সেল্টিক পার্কে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল আন্দ্রে পির্লোদের। তিন মিনিটেই সেল্টিক রক্ষণে ইকে অ্যামব্রোসের ভুল কাজে লাগিয়ে গোল করেন ইতালীয় ক্লাবের স্ট্রাইকার আলেসান্দ্রো মাতরি। ম্যাচ দেখে কে বলবে যে, এই সেল্টিকই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে হারিয়ে দিয়েছিল বার্সেলোনার মতো হেভিওয়েট দলকে! দ্বিতীয়ার্ধে ক্লদিও মার্সিসিও এবং মিরকো ভুসিনিচ গোল করে ব্যবধান বাড়ানোয় শেষ আটে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই প্রশস্ত করল জুভেন্তাস। জিতলেও ম্যাচের পর সেল্টিকের ফুটবলারদের প্রশংসা করে জুভেন্তাস কোচ বলেন, “ঘরের মাঠে সেল্টিক বিপজ্জনক। প্রথম গোলের পর ওরা চেপেও ধরেছিল। ফিরতি ম্যাচে তা হতে দেওয়া চলবে না।”
ভ্যালেন্সিয়ার ঘরের মাঠ এস্তাদিও দে মেস্তায়া-তে প্যারিস সাঁ জাঁ প্রথমার্ধেই ২-০ এগিয়ে যায়। গোল করেছেন দুই আর্জেন্তিনীয় ইজেকিউয়েল লাভেজ্জি এবং জেভিয়ার পাস্তোর। দ্বিতীয়ার্ধেও লাভেজ্জিদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ ভ্যালেন্সিয়া। তবে ম্যাচের একদম শেষ দিকে ভ্যালেন্সিয়া রক্ষণ থেকে উঠে গিয়ে আদিল রামি ব্যবধান কমানোয় কিছুটা হলেও চিন্তা থেকেই গেল বেকহ্যামদের ক্লাবের। এ দিন নতুন ক্লাবের প্রেসিডেন্টের পাশে গ্যালারিতে বসে পুরো ম্যাচ দেখলেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ফিরতি ম্যাচে ইব্রাহিমোভিচ না থাকায় যিনি এখন ক্লাবের অন্যতম ভরসা। |