একে তাঁর প্রিয় টিম। তার উপর ব্যাটিং লাইন আপে অভিজ্ঞতার অভাব। তার চেয়েও বড় হল একশো টেস্ট খেলার স্বপ্ন পূরণের হাতছানি। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টে নামার আগে রীতিমতো ফুটছেন হরভজন সিংহ।
“অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে সব সময় ভালবাসি আমি। কত ভাল ভাল স্মৃতি আছে ওদের বিরুদ্ধে,” অস্ট্রেলিয়া প্রসঙ্গ উঠতেই কিছুটা নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন ভাজ্জি। এবং তার পরই ফিরে আসেন বর্তমানে। ফিরে আসেন চেনা মেজাজে। চেন্নাই টেস্টের দিন সাতেক বাকি থাকলে কী হবে, এখনই হুঙ্কার দিয়ে রাখছেন ‘টার্বুনেটর’: “মনে রাখবেন, মাইক হাসি অবসর নিয়ে নেওয়া মানে ওদের ব্যাটিং লাইন এখন অনেকটাই অনভিজ্ঞ। উপমহাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা বিশেষ নেই। তা ছাড়া মাইকেল ক্লার্ক, শেন ওয়াটসনকে বাদ দিলে এ বারের অস্ট্রেলিয়া দলটায় অনেক বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান আছে। ওদের বিরুদ্ধে বল করাটা ইন্টারেস্টিং হবে। প্রথম দিন থেকেই ওদের চাপে ফেলতে চাই।” |
|
বনাম অস্ট্রেলিয়া
টেস্ট: ১৬
উইকেট: ৯০
সেরা বোলিং: ৮-৮৪
গড়: ২৯.৩৫ |
|
কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে সেই ঐতিহাসিক ২০০১ টেস্ট সিরিজ। যেখান থেকে হরভজনের উত্থান ‘টার্বুনেটর’ হিসাবে। “ওদের বিরুদ্ধে যখন প্রথম খেলতে নামি, ভাবিনি এত দূর আসতে পারব। আর এখন আমি একশো টেস্টের মুখে দাঁড়িয়ে। ভাবতেই উত্তেজিত লাগছে,” প্রথম দুটো টেস্টে সুযোগ পাওয়ার পর বলছিলেন ৯৯ টেস্ট খেলা হরভজন।
ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর এই মরসুমে জোড়া ‘কামব্যাক’ হয়ে গেল ভাজ্জির। প্রথমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু বাদ পড়ে যান কলকাতা টেস্টের পর। এ বার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আবার ফেরানো হল তাঁকে। কিন্তু রঞ্জিতে তো আপনার সে রকম সাফল্য নেই? পাঁচ ম্যাচে মাত্র ১৬ উইকেট। তা হলে কি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রেকর্ডের কথা ভেবেই নির্বাচকেরা ফিরিয়ে আনলেন আপনাকে?
একটু ভেবে হরভজনের উত্তর, “সে প্রশ্নটা নির্বাচকদের করলেই ভাল হয়। আর রঞ্জি পারফরম্যান্স নিয়ে বলব, ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিসংখ্যান কিন্তু সব সময় আপনার সত্যিকারের ফর্ম তুলে ধরে না। এই মরসুমটা পঞ্জাব বেশির ভাগ ম্যাচ খেলেছে মোহালিতে। যেখানকার ঘাসে ভরা শক্ত উইকেটে স্পিনাররা সাহায্য পায়নি। তবে যে রকম বল করছি এই মরসুমে, তাতে আমি খুশি। ছন্দটা ফিরে পেয়েছি। টেস্টে নামার আগে এটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে।”
১৯৯৮-এ বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্ট খেলা। আর অভিষেকটা কার বিরুদ্ধে? সেই অস্ট্রেলিয়া। আবার তাদের বিরুদ্ধেই প্রত্যাবর্তন। তাদের বিরুদ্ধেই জীবনের একশোতম টেস্ট খেলার সুযোগ। কী রকম লাগছে? “জাতীয় দলে ফিরে আসাটা সব সময়ই কঠিন। কিন্তু পরিশ্রম করে গেলে, আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিছু করে দেখাতে পারব এই বিশ্বাসটা থাকলে সব কিছুই সম্ভব।”
হরভজন কিন্তু যুদ্ধের বাজনাটা আগেভাগেই বাজিয়ে রাখলেন। |