|
|
|
|
জাল সই-কাণ্ড |
রিপোর্ট তলব কংগ্রেস সভাপতির
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জাল সই-কাণ্ড নিয়ে এ বার নড়েচড়ে বসলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে। বুধবার তিনি মেদিনীপুর পুরসভার উপপুরপ্রধান এরশাদ আলির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন। এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা লিখিত ভাবে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতির কথায়, “তদন্ত যাতে প্রভাবিত না হয়, সেই দিকটিও দেখা জরুরি। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, দলের কেউ জড়িত রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। আমরা চাই, ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। দোষীদের নাম প্রকাশ্যে আসুক।”
তিনি বলেন, “বুধবারই বিষয়টি নিয়ে উপপুরপ্রধান এবং শহর কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। লিখিত বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে মহকুমাশাসকের সঙ্গেও কথা বলব। ওঁনাকে বলব, তদন্ত যাতে প্রভাবিত না- হয়, তার ব্যবস্থা করতে।” বস্তুত, জাল সই কান্ড নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল দু’দলের জেলা নেতৃত্বই বিড়ম্বনায় পড়েছেন। সামনে পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। এই অবস্থায় বিড়ম্বনা যেন আরও বেড়েছে। বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য পুরপ্রধান এবং উপপুরপ্রধানের সই জাল করার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। জাল করা হয়েছিল পুরসভার স্ট্যাম্পও। যদিও বিষয়টি নিয়ে শুরুতে পুলিশের কাছে লিখিত কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। পুরপ্রধান এবং উপ- পুরপ্রধানের এই অবস্থান ঘিরে দুই দলের অন্দরে নানা প্রশ্ন ওঠে। শেষমেশ, ঘরে- বাইরে চাপের মুখে পড়ে সোমবার রাতে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পুরপ্রধান- উপপুরপ্রধান। উপপুরপ্রধান যে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন, সেখানে অমিতাভ মল্লিক ওরফে লাল্টু নামে একজনের নাম রয়েছে। পুরপ্রধানের অভিযোগপত্রে অবশ্য এই ব্যক্তির পাশাপাশি প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুভাষময় ঘোষ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘোষ (সুভাষময়বাবুর স্ত্রী) এবং উৎপল চট্টোপাধ্যায় নামে একজনের নাম রয়েছে। উৎপলবাবু পুরসভার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকাদার। অবৈধভাবে বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তাঁকে আগেই ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে পুরসভা। অন্যজন অমিতাভবাবু ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। উপপুরপ্রধানের অভিযোগপত্রে কেন একজনের নাম রয়েছে, পুরপ্রধানের অভিযোগপত্রে কেন চারজনের নাম রয়েছে, এ নিয়েও শোরগোল চলছে পুরসভার অন্দরে। উপপুরপ্রধানের বক্তব্য, অভিযোগ পেয়ে তিনি তদন্ত শুরু করেছিলেন। তখন অমিতাভ মল্লিক নামে ওই ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে দোষ স্বীকার করেন। জানান, অবৈধভাবে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য তিনিই এ ভাবে অর্থ আদায় করেছেন। ফলে অভিযোগপত্রে ওই ব্যক্তির নাম রেখেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|