কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিন নাকচ হয়ে গেলেও এক নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত রিষড়ার তৃণমূল কাউন্সিলর জাহিদ হাসান খানকে এখনও গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। হুগলি জেলা সিপিএম এবং রিষড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শাসক দলের নেতা বলেই জেলা পুলিশের কর্তারা ইচ্ছা করেই জাহিদকে ধরছেন না। অভিযোগ উড়িয়ে তদন্তকারীদের দাবি, জাহিদ পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।
বছর দুয়েক আগে বিহার থেকে এক নাবালিকাকে তুলে এনে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে রিষড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পিসিদা বাজার এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর জাহিদ। তাঁর প্রত্যক্ষ মদতে সাদ্দাম তাকে বিয়ে করে বলে আদালতে জবানবন্দি দেয় ওই নাবালিকা। পুলিশ জাহিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। গ্রেফতারি এড়াতে জেলা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন ওই তৃণমূল নেতা। গত ২৮ জানুয়ারি জেলা আদালত ওই আর্জি নাকচ করে। এর পরে কলকাতা হাইকোর্টে একই আবেদন করেন তিনি। গত সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি কাঞ্চন চক্রবর্তী ডিভিশন বেঞ্চও ওই আবেদন নাকচ করে।
জাহিদের দাবি, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, “ডাক্তারি পরীক্ষার সময় মেয়েটি আমার নাম বলেনি। এফআইআর-এও আমার নাম নেই। আমি বরং তদন্তে সাহায্য করি। আসলে আমি দলের গোষ্ঠী রাজনীতির শিকার হলাম।” |