জমির জাল দলিল-পরচার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের আরামবাগের তিরোল শাখা থেকে কৃষিঋণ নেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম দিলীপ রায় এবং রামপ্রসাদ পাল। দু’জনেরই বাড়ি স্থানীয় বোরা গ্রামে। তদন্তকারীদের দাবি, ওই দু’জনকে গ্রেফতারের ফলে একটি জালিয়াতি চক্রের হদিশ মিলেছে। ওই চক্রে ব্যাঙ্কের ওই শাখার কয়েক জন কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিরও কয়েক জন জড়িত। ধৃতদের বুধবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক দু’জনকেই চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি তিরোলের চণ্ডীবাটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যাঙ্কেরই এক গ্রাহক পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানান, কৃষিজমি না থাকা সত্ত্বেও ভুয়ো দলিল-পরচা দাখিল করে বোরা গ্রামের ওই দু’জন-সহ মোট চার জন কৃষিঋণ নিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তদের দাখিল করা পরচা জাল। জালিয়াতি চক্রে কৃষি দফতর ও বিএলএলআরও দফতরের কয়েক জন কর্মী, তিন জন দালাল এবং ব্যাঙ্কের ওই শাখার কয়েক জন গ্রাহক, কর্মী ও আইনজীবী জড়িত বলে পুলিশের দাবি। তাঁদের আইনি নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার শান্তিসাধন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “বিএলএলআরও দফতরের নথি, ব্লক কৃষি আধিকারিকের শংসাপত্রের পরে আমাদের ফিল্ড অফিসার এলাকা ঘুরে রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আমাদের আইনজীবী যথাযথ শংসাপত্র দিলে কৃষিঋণ মঞ্জুর করা হয়। যাবতীয় নথিপত্র দেখেই চার জনের কৃষিঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে।” ব্লক কৃষি আধিকারিক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “জমির পরচা ও খাজনার রসিদ দেখেই শংসাপত্র দেওয়া হয়। সেগুলি জাল কিনা, বলতে পারব না।” ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই চার জনের দলিল-পরচা রেকর্ডে নেই। তারা কোথা থেকে কী ভাবে তা জোগাড় করল তদন্ত করা হোক।” |