কপ্টার দিগভ্রান্ত, মেঘালয়ে পণ্ড হল বিজেপির সভা
প্রশাসনের ছকে দেওয়া গতিপথ ধরে আকাশে চক্কর দেওয়াই সার হল। উদ্দিষ্ট সভাস্থল খুঁজে না পেয়ে ফিরে গেল হেলিকপ্টার। মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে কাল পণ্ড হল বিজেপির দু’ দু’টি নির্বাচনী সভা। ওই দুই সভায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মেঘালয় বিজেপি ‘তারকা’ বক্তা হিলাবে নাম ঘোষণা করে রেখেছিল দলীয় সাংসদ বিজয়া চক্রবর্তী ও স্মৃতি ইরানির। কিন্তু গারো পাহাড়ে নামতে না পেরে আকাশে চক্কর মেরে তাঁদের নিয়েই কপ্টারটি শেষে গুয়াহাটিতে গিয়ে নামে। এ ঘটনায় কার্যত মুখ পুড়েছে মেঘালয় বিজেপির। প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বিজেপির প্রদেশ সভাপতি এইচ এস সিয়েমলিয়ে-সহ শীর্ষ নেতারা।
সিয়েমলিয়ে জানান, মেঘালয়ের পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম গারো পাহাড়ে তারকা প্রচারকারী হিসাবেই স্মৃতি ইরানিকে আনা হয়েছিল। সেইমতো গ্রামে গ্রামে প্রচারও চালানো হয়। কিন্তু কাল শিলং থেকে স্মৃতি ও বিজয়া দেবীকে নিয়ে ওড়ার পরে নির্দিষ্ট দু’টি প্রচারসভার কোনওটিকেই খুঁজে পায়নি। কপ্টার পাহাড়ি এলাকায়, নীচু দিয়ে উড়ে জনসমাগম বা মঞ্চ খুঁজে বের করাও সম্ভব ছিল না পাইলটের পক্ষে। বিজেপি নেত্রীদের অপেক্ষায় থাকা জনতা শেষে গভীর ক্ষোভ নিয়ে সভা ছেড়ে চলে যায়। মুখ পোড়ে দলের। পুলিশও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। পাইলটের বক্তব্য, প্রশাসনের তরফে যে অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ দেওয়া হয়েছিল তা ভুল। বিপদ বুঝে চালক কপ্টার নিয়ে গুয়াহাটি চলে যান।
সিয়েমলিয়ের কথায়, “দুই জেলার জেলাশাসক ও পুলিশের অপদার্থতার ফলে বিজেপির বিস্তর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ধুলোয় লুটিয়েছে ভাবমূর্তি। এ নিয়ে আমরা দিল্লিকে অভিযোগ জানিয়েছি। দুই নেত্রীকে নিয়ে কপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখেও পড়তে পারত। অবিলম্বে দুই জেলাশাসককে সরিয়ে দেওয়া হোক।”
ঘটনা হল, হেলিকপ্টারের ‘ভূত’ মেঘালয়ের পিছন ছাড়ছে না। গত ৩১ জানুয়ারি খোদ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাকে নিয়ে আকাশে বেশ কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যায় একটি কপ্টার। সে দিনও পুলিশের পাঠানো দিক নির্দেশ বুঝতে না পেরে শেষ অবধি কপ্টারচালক মুকুলকে নিয়ে কপ্টারটি নামান গুয়াহাটিতে। তারপর আবার গত কালও গারো পাহাড়ে ঘটল অনুরূপ ঘটনা।
পোস্টার সরাতে নির্দেশ। নির্বাচনী পোস্টারে জাতীয় প্রতীক ব্যবহার করায় ন্যাশনালিস্ট পিপ্লস পার্টির (এনপিপি) সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী প্রচারের কাজে জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ব্যবহার করা অবৈধ। কিন্তু দীর্ঘদিনের সাংসদ, প্রাক্তন লোকসভা স্পিকার পূর্ণ সাংমার দল নির্বাচনী প্রচারে অশোক চক্র ব্যবহার করেছে বলে অ্ভিযোগ। গারো পাহাড়ে, এনপিপি দলের পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, দলের প্রতীক বই হাতে দাঁড়িয়ে পূর্ণ। সেই বইতেই রয়েছে অশোক চক্র। এ নিয়ে কংগ্রেসের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরেই নির্বাচন কমিশন এনপিপির সব পোস্টার সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ পাঠায়। পশ্চিম গারো পাহাড়ের জেলাশাসক প্রবীণ বক্সি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের কথা জানিয়ে বলেন, “নির্বাচনে জাতীয় প্রতীক ব্যবহার করা একেবারেই অনৈতিক কাজ। আমরা সব পোস্টার সরিয়ে ফেলছি। যাঁরা পোস্টার লাগাবেন বা অশোক চক্রের ছবি ছাপানো প্রচারপত্র বিলি করবেন তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.