|
|
|
|
খাদ্য সুরক্ষা বিলের বিপক্ষে জ্যোতিপ্রিয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
খাদ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে খাদ্য সুরক্ষা বিলের বিরোধিতায় সরব হল পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ দিন বৈঠকে জানিয়েছেন, এই আইন চালু হলে রাজ্যের ঘাড়ে অতিরিক্ত দু’হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপবে। কেন্দ্রীয় সাহায্য না পেলে ওই আইন রাজ্যে প্রণয়ন করা সম্ভব নয়।
লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। তাই আগামী বাজেট অধিবেশনেই খাদ্য সুরক্ষা বিল সংসদে পাশ করাতে চায় কেন্দ্র। খাদ্য বিষয়ক সংসদীয় কমিটি ইতিমধ্যেই ওই বিলটি নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। তাই বিলটির চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক করার আগে বিভিন্ন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী কে ভি টমাস। খাদ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে টমাস কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাজেট অধিবেশনেই বিলটি আসছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর দাবি, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, বিহারের মতো একাধিক বড় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীও ওই বিলের বিপক্ষে সরব হয়েছেন।
রাজ্যের খাদ্য দফতরের বক্তব্য, ওই আইন চালু হলে গ্রামীণ এলাকায় পরিবারপিছু ২৫ শতাংশ ও আর শহরাঞ্চলে ৫০ শতাংশ খাদ্যশস্য দিতে হবে রাজ্যকে। জ্যোতিপ্রিয়ের দাবি, “খোলা বাজার থেকে খাদ্যশস্য কিনতে হবে রাজ্যকে। এর ফলে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। রাজ্যের ওই বাড়তি খরচ করার সামর্থ্য নেই। কেন্দ্র ওই বাড়তি অর্থ ভর্তুকি হিসাবে দিক।”
রাজ্যগুলি আপত্তি জানালেও খাদ্য মন্ত্রক কিন্তু আজ স্পষ্ট করে দিয়েছে, সংসদে ওই বিলটি পাশ হলে আগামী এক বছরের মধ্যে সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে নিজেদের রাজ্যে ওই আইন চালু করে ফেলতে হবে। খাদ্য মন্ত্রকের সূত্র বলছে, কেন্দ্র চলতি বাজেটে ওই বিলটি পাশ করাতে বদ্ধপরিকর। তাই সংসদে বিলটি পাশ হলে রাজ্য সরকারের ভূমিকা কী হবে, তা স্পষ্ট কিছু জানাননি জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর কথায়, “আমাদের দল সংসদে বিলটির বিরোধিতা করবে। তা সত্ত্বেও বিলটি পাশ হলে আমাদের হাতে এক বছরের সময় থাকবে। তার মধ্যে কোনও একটি রাস্তা ঠিক মিলে যাবে।”
জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “ভবিষ্যতে দেশের মানুষকে খাদ্যশস্য বিতরণ না করে তাদের সোজাসুজি ভর্তুকির অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে। হাতে নগদ অর্থ এলে আরও নয়ছয় হবে। মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।” জ্যোতিপ্রিয়ের আশঙ্কার সঙ্গে একমত কংগ্রেস তথা খাদ্য মন্ত্রকের একটি বড় অংশও। ফলে ইউপিএ-র দ্বিতীয় পর্বে অন্তত ওই নীতি চালু হবে বলে মনে করছেন না খাদ্য মন্ত্রকের কর্তারাই। |
|
|
|
|
|