|
|
|
|
৭ মাসে ৭টি |
বীরাপ্পনের ৪ সঙ্গীর মত্যুদণ্ড মকুবের আবেদনও খারিজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আফজল গুরুর পর বীরাপ্পনের চার সঙ্গীর মৃত্যুদণ্ড মকুবের আর্জিও খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সাইমন, জ্ঞানপ্রকাশ, মাদাইয়া ও বিলভেন্দ্র নামে বীরাপ্পনের এই সঙ্গীরা ’৯৩ সালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ২২ জন পুলিশকে হত্যা করে। প্রথমে মহীশূরের টাডা আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। পরে ২০০৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ফাঁসির সাজা শোনায়।
যদিও আজ সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি এদের ফাঁসির সাজা মাফ করেননি। এ বার রাজ্য সরকার এবং জেল কর্তৃপক্ষ তাদের ফাঁসির দিনক্ষণ নির্ধারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। অভিযুক্তদের পরিবারের তরফেও বলা হয়েছে, তাঁদের কাছে খবর পৌঁছেছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে মৃত্যুদণ্ড মকুবের আর্জি সংক্রান্ত পুরনো ফাইলটিও আজ তুলে নেওয়া হয়েছে। সে দিক থেকে হিসেবমতো রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর গত সাত মাসে সাত জনের মৃত্যুদণ্ড মকুবের আর্জি খারিজ করলেন প্রণববাবু।
তবে আজকের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অনেকেই রাজনীতি খুঁজেছেন। আফজলের ফাঁসির পরদিনই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানান, শুধু রাজনৈতিক কারণে যে আফজলকে ফাঁসি দেওয়া হল না, তা প্রমাণ করে দেখাতে হবে। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, সেটাই প্রমাণ করে দেখাল সরকার তথা কংগ্রেস।
তবে কংগ্রেস নেতারা এ নিয়ে প্রকাশ্যে জবাব দিতে চাননি। বরং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, আজকের সিদ্ধান্ত শুধু দেশের বিচারব্যবস্থার দৃষ্টিতেই দেখা ভালো। মন্ত্রকের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড মকুব সংক্রান্ত আরও সাতটি ফাইল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সব ফাইল অনুযায়ী, ৯ জনের জীবন-মরণের বিষয়টি এখন রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের উপর ঝুলছে।
প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড মকুব সংক্রান্ত ১১টি ফাইল পুনরায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে মতামত জানতে চান। তার মধ্যে মুম্বই সন্ত্রাসের ঘটনায় অভিযুক্ত আজমল কসাব এবং সংসদ হামলায় অভিযুক্ত চক্রী আফজল গুরুর ফাইল আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পাঠিয়েছিল। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সব ক্ষেত্রেই ফাঁসি মাফ করার আর্জি খারিজের সুপারিশ করেছে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই সাত ফাইলের মধ্যে রাজীব গাঁধীর তিন ঘাতক মুরুগান, সন্থন, পেরিয়াভালান এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংহের ঘাতক বলবন্ত সিংহ রাজোয়ানার নাম নেই। নাম নেই পঞ্জাবের খালিস্তানি জঙ্গি দেবেন্দ্র সিংহ ভুল্লারেরও। কারণ, এদের মৃত্যুদণ্ড মকুবের আর্জি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলই খারিজ করেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির সেই সিদ্ধান্তের পর তারা ফের পুনর্বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছে। ওমর আবদুল্লা এদের ফাঁসির দাবিতেই সরব হয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, কেন সরকার সেই সব মামলা নিয়ে দেরি করছে?
এই বিলম্ব যে রাজনৈতিক, তা নিয়ে সংশয় নেই কারও। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুশীল শিন্দের বক্তব্য, ওই বিষয়গুলি বিচারাধীন রয়েছে। ফলে সেগুলি নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। |
|
|
|
|
|