|
|
|
|
ভোট ৬০ কেন্দ্রেই |
প্রত্যাবর্তন-পরিবর্তনের
লড়াই আজ ত্রিপুরায়
সন্দীপন চক্রবর্তী • আগরতলা |
|
|
প্রত্যাবর্তন বনাম পরিবর্তন! ফয়সালা করতে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে ভোটে যাচ্ছে ত্রিপুরা। নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁস জোরদার। বুধবার রাত থেকে জারি ১৪৪ ধারা। সিল করে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। পুলিশ ও আড়াইশো কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য চষে ফেলছেন নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকেরাও।
বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা, উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরায় মোট বিধানসভা কেন্দ্র ৬০টি। রাজ্যের সর্বত্রই বৃহস্পতিবার এক দিনে ভোটগ্রহণ। তার জন্য বুথ রয়েছে ৩ হাজার ৪১টি। তার মধ্যে ৩ হাজার ১৮টি পুরোদস্তুর বুথ, বাকিগুলি অগ্জিলিয়ারি বুথ। মোট ভোটার ২৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৪৬ জন। সবক’টি কেন্দ্র মিলিয়ে প্রার্থী রয়েছেন ২৪৯ জন। ত্রিপুরার পরে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা ভোট রয়েছে উত্তর-পূর্বের আরও দুই রাজ্য নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে। একই দিনে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিধানসভা আসনেও উপনির্বাচন। তিন রাজ্য ও উপনির্বাচন মিলিয়েই ভোটগণনা ও ফলপ্রকাশ ২৮ ফেব্রুয়ারি। |
|
ভোটের আগের দিন আগরতলায় আধা-সামরিক বাহিনীর টহল। বুধবার। ছবি: উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী |
ত্রিপুরায় ক্ষমতাসীন বামফ্রন্টের হাতে এখন রয়েছে ৪৯টি আসন। এ বার জিতলে টানা পঞ্চম বারের জন্য বামফ্রন্ট সরকার তৈরি হবে। রাজ্যে সব মিলিয়ে সাত বার। সিপিএম নেতৃত্ব চাইছেন, অতীতের আসন রেকর্ড ভেঙে দিয়ে তৈরি হোক সপ্তম সরকার! ত্রিপুরায় ১৯৭৭ সালে বামেরা পেয়েছিল ৫৬টি আসন। সে বার কংগ্রেসের ঝুলিতে একটি আসনও জোটেনি। এ বার মানিক সরকার-বিজন ধরদের মনোবাসনা, বিরোধীশূন্য বিধানসভা তাঁদের উপহার দিক ত্রিপুরার মানুষ! বিদায়ী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিকবাবুর কথায়, “বিধানসভার ভিতরে বা বাইরে মানুষের জন্য এমন কোনও কাজ ওঁরা (বিরোধী) করেননি যে, ওঁদের ভোট দিয়ে জেতাতে হবে!”
অতীতে বার বার ক্ষমতায় এলেও আগরতলা শহর-কেন্দ্রিক বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হাতছাড়া হয়েছে বামেদের। এ বার বাম নেতৃত্ব চাইছেন শহরেও ভাগ্য ফেরাতে। আগরতলা ঘিরে চারটি কেন্দ্রের মধ্যে দু’টিতে লড়ছে
সিপিএম। বাম শরিক সিপিআই ও ফরওয়ার্ড একটি করে।
আবার শহরাঞ্চলেই কংগ্রেসের ‘পরিবর্তনে’র ডাক নিয়ে মিছিল-জমায়েত বেশি হয়েছে গত মাস দেড়েক ধরে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুদীপ রায় বর্মণের বক্তব্য, “পরিবর্তনটা আমাদের দাবি নয়। মানুষের দাবি। আমরা সেই আকাঙ্ক্ষাকে রূপ দিতে চাইছি। আমরা বিশ্বাস করি, কুড়ি বছরের অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে মানুষ এ বার পরিবর্তন নিয়ে আসবেন।”
সিপিএম-কংগ্রেসের বাইরে আইএনপিটি-র সভাপতি বিজয় রাঙ্খলের নতুন কেন্দ্র আমবাসা-ও এ বার অন্যতম কৌতূহল। রাঙ্খলের সন্ত্রাসবাদী ভূমিকার ইতিহাস সামনে রেখে তাঁকে হারাতে মরিয়া সিপিএম। আর তিন বারের বিধায়ক রাঙ্খলও কংগ্রেসের মতোই বলছেন, “মানুষ পরিবর্তন চাইছেন!” কংগ্রেস-আইএনপিটি জোটে সুদীপবাবুরা প্রার্থী দিয়েছেন ৪৮টি আসনে। আইএনপিটি-কে ছাড়া হয়েছে ১১টি আসন। একটি আসনে লড়ছে এনসিটি। |
|
|
|
|
|