|
|
|
|
পচনন্দার নির্দেশ পেয়েই অভিযান |
ওদের ধরে আনুন, আমি এখানেই বসছি |
সুরবেক বিশ্বাস |
মঙ্গলবার তখন বিকেল ৪টে। গার্ডেনরিচ থানায় ঢুকলেন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা। নিহত সাব ইনস্পেক্টর তাপস চৌধুরীর বাড়ি থেকে সোজা আসছেন। তার আগে হাসপাতালে পুলিশ কর্মীদের বিক্ষোভও দেখে এসেছেন। মুখটা থমথম করছে তাঁর। সঙ্গে অতিরিক্ত কমিশনার (১) সুধীর মিশ্র, যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম।
গার্ডেনরিচ থানার পরিবেশও আগের মুহূর্ত পর্যন্ত উত্তপ্তই ছিল। উপরওয়ালাদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন থানার অফিসারেরা। পুলিশ কমিশনার ঢোকামাত্র সব চুপ। পিন পড়লেও বুঝি শব্দ শোনা যাবে। এক বার ইবনেকে ধরেও ছেড়ে দিতে হয়েছে। এ বার কী নির্দেশ দেবেন পুলিশ কমিশনার? |
তনুশ্রী চৌধুরী (তাপস চৌধুরীর মেয়ে)
পুলিশ নিজেকে রক্ষার জন্য বন্দুক চালাতে পারে না,
কিন্তু অন্যেরা গুলি চালায়! তা হলে
পুলিশের
নিরাপত্তা কোথায়! ওই ছেলেটা অস্ত্র পেল কী করে?
|
তমাল চৌধুরী
(তাপস চৌধুরীর ছেলে)
আমার বাবাকে যে মারল,
সেই খুনির শাস্তি চাই,
শাস্তি চাই, শাস্তি চাই...
|
|
অফিসারদের সবার মুখের অবস্থাটা একবার দেখে নিলেন পচনন্দা। তার পরেই এল ঘোষণা, “সুহান, ইবনেদের আমার এখনই চাই।” পরের বাক্যটা সরাসরি ওসি রাম থাপাকে। “রাম, আমি শুধু জানতে চাই, আপনি ওদের গ্রেফতার করতে পারবেন কি না। আমি শুধু উত্তরটা চাই এখনই।’’ “ইয়েস স্যার”, উত্তর দিলেন রাম। সারা দিনে এই প্রথম নিচুতলার পুলিশ কর্মীরা কিছুটা যেন চাঙ্গা হয়ে উঠলেন। পুলিশ কমিশনার বললেন, “যতক্ষণ না সুহান আর ইবনে ধরা পড়ছে, ততক্ষণ আমি এখানেই বসে থাকছি। সুহানকে গ্রেফতার করতে পারলে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।” পচনন্দার কথা শুনে প্রথমে একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু বেরোনোর আগে ওসি-কে বলে গেলেন, “স্যার, ইনাম চাই না। ওই দু’জনকে ধরতে না পারলে তাপস চৌধুরীর আত্মা শান্তি পাবে না।”
বাহিনী বেরিয়ে যেতেই ওসিকে আবার ডাকলেন পুলিশ কমিশনার। ‘‘আমি চাই, দুষ্কৃতীদের প্রত্যেককে এখনই গ্রেফতার করা হোক। বাকিদের নামগুলো বলুন॥
সুহান, ইবনেদের ভ্যানে তুলে পুলিশ চলে গেল লালবাজারে। পুলিশ কমিশনার পচনন্দা উঠে পড়লেন থানা থেকে। তাপসবাবুর শেষকৃত্যে তাঁকে যেতে হবে যে! |
|
|
|
|
|