সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সহারা গোষ্ঠীর দুই সংস্থার যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। ওই দুই সংস্থা ও তার শীর্ষ কর্তাদের (কর্ণধার সুব্রত রায় সমেত) সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে তারা।
লগ্নিকারীদের কাছ থেকে তোলা টাকা (সুদ সমেত ২৪ হাজার কোটি) তাঁদের সময়মতো না ফেরালে, সহারা ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেট এবং সহারা হাউসিং ইনভেস্টমেন্টের বিরুদ্ধে সেবিকে গত অগস্টেই ব্যবস্থা নিতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। এ নিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি সেবির কাছে কৈফিয়ৎও তলব করে তারা। এর পরই বুধবার সেবির এই নির্দেশ। যে যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—
• সহারা গোষ্ঠীর সংস্থা অ্যাম্বি ভ্যালির জমি। দিল্লি, গুড়গাঁও, মুম্বই-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রকল্প নির্মাণের অধিকারও।
• অ্যাম্বি ভ্যালির হাতে থাকা শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট, ব্যাঙ্ক ও ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট, ব্যাঙ্কে রাখা টাকা। টাকা থাকলে, ব্যাঙ্কগুলিকে তা সেবি-সহারা রিফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
• সহারা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুব্রত রায় এবং ওই দুই সংস্থার আরও ৩ কর্তার ব্যাঙ্ক ও ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট। তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি। ২১ দিনের মধ্যে এ সবের বিশদ তালিকাও জমা দিতে বলা হয়েছে।
• লগ্নির তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে দুই সংস্থাকেও। এখন থেকেই আর টাকা, সম্পত্তি, শেয়ার বা লগ্নি অন্য কোথাও সরাতে পারবে না তারা। লেনদেন করতে পারবে না ব্যাঙ্ক ও ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে। |