‘অপহৃত’কে উদ্ধারে গিয়ে বাধা পুলিশকে |
প্রথম পক্ষের স্ত্রীর পরিজনদের হাতে ‘অপহৃত’ এক ব্যক্তিকে উদ্ধারে গিয়ে বাধার মুখে পড়ল পুলিশ। ধস্তাধস্তি হল স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। জখম হলেন দুই পুলিশকর্মী। পরে এসডিপিও (কাটোয়া) ধ্রুব দাসের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী গিয়ে হাসমত আলি নামে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। বুধবার দুপুরে কেতুগ্রামের শিলুড়ি গ্রামের এই ঘটনায় তিন মহিলা-সহ ন’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় বাড়ি হাসমত আলির। তিনি মঙ্গলবার শিলুড়ি গ্রামে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী নার্গিস বেগমের কাছে মেয়ে নার্জিনকে দেখতে আসেন। এর পরেই নার্গিস বেগম ও তাঁর পরিবার হাসমতকে অপহরণ করে রাখে বলে মহেশতলার জিঞ্জিরাবাজার ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন হাসমতের দ্বিতীয় স্ত্রী বরোজা কবির। ওই ফাঁড়ির তরফে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগটি পাঠিয়ে দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
কেতুগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ পেয়ে বুধবার ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছতেই স্থানীয় মহিলারা তাদের ঘেরাও করে রাখে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। তখনই দুই পুলিশকর্মী জখম হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্মী বলেন, “ওই সময়ে আমাদের গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেয় নার্গিস বেগমের বাড়ির লোকজন ও পড়শিরা।” পুলিশ আরও জানায়, ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন, হাসমত আলির ‘বিচারসভা’ বসেছিল। তাঁর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকাও দাবি করা হয়েছে। নার্গিস বেগম ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, কোনও ক্ষতিপূরণ না দিয়েই হাসমত দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সে জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দাবি করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশ অবশ্য তা মানেনি।
পুলিশ জানায়, নার্গিস বেগম হাসমতের নামে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ করেছেন। তাই পুলিশ সিআরপিএফের কর্মী হাসমতকেও গ্রেফতার করেছে।
|
অবরোধে আটকে পড়লেন অমর্ত্য |
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পথ অবরোধ হল বর্ধমানের উল্লাস মোড় ও নবাবহাটের মোড়ে জিটি রোডে। বুধবার বামচণ্ডীপুরের কাছে বোলপুর থেকে কলকাতা ফেরার সময় এই অবরোধে আটকে পড়েন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও রাস্তায় শুয়ে পড়া কংগ্রেস কর্মীদের সরাতে তাদের বেগ পেতে হয়। কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা অমর্ত্যবাবুর গাড়ি ঘিরে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। শেষে কলকাতার গার্ডনরিচে নিহত পুলিশ কর্মীর স্মৃতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করে কংগ্রেস অবরোধ তুলে নেয়। জেলা কংগ্রেস গ্রামীনের সভাপতি আজিজুল হক মণ্ডল বলেন, “জেলায় অন্তত ১০ জায়গায় আমরা অবরোধ করেছিলাম। মন্তেশ্বর থানার কুসুমগ্রামের কাছে অবরোধে দীর্ঘক্ষন আটকে থাকেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।”
|
বিদ্যুৎ বণ্টন কেন্দ্রে বিক্ষোভ মন্তেশ্বরে |
গত ১৫ দিন ধরে টানা লোডশেডিং-এর প্রতিবাদে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির মন্তেশ্বর শাখায় বিক্ষোভ দেখালেন ব্লকের চাষিরা। বুধবার দুপুরে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বিক্ষোভ চলে। তাঁদের দাবি, বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। সবে বোরো ধান পোঁতা হয়েছে। এই সময় প্রচুর জলের দরকার। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জল মিলছে না। এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও সমস্যায় পড়ছেন। বিক্ষোভ চলাকালীন ওই কেন্দ্রের স্টেশন সুপার শেখ আবদুল কালাম কালনা ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়রের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ উঠে যায়। |