|
|
|
|
বন্ধে প্রসূতির গাড়ি আটকানোর নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
বন্ধের সমর্থনে রাস্তা নেমে কাটোয়ায় প্রসূতির গাড়ি আটকানোর অভিযোগ উঠল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। পৌঁছয় পুলিশও। গাড়িটিকে উদ্ধার করে প্রসূতিকে নার্সিংহোমে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। কাটোয়া থানার পুলিশ জানায়, প্রসূতির বাড়ির লোক ও চালকের কাছে বন্ধ সমর্থকেরা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেন। তাই তাঁরা আর কোনও অভিযোগ করেননি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি বহরমপুর সার্কিট হাউসে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি তথা রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য-সহ ১২০০ কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর ও বর্ধমানের কাটোয়ায় বুধবার ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে কংগ্রেস। এ দিন কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড বন্ধ থাকায় বাস চলাচল করেনি। মহকুমাশাসকের দফতর, আদালতও ছিল ফাঁকা। ট্রেন চলাচল অবশ্য স্বাভাবিক ছিল। পুলিশ অবশ্য জানায়, বন্ধকে কেন্দ্র করে কাটোয়া শহরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। |
কাটোয়ায় বন্ধ সমর্থনে কংগ্রেস কর্মীরা। |
রুদ্ধ পথ।—নিজস্ব চিত্র। |
|
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বদ্যিপুর থেকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হতে আসছিলেন প্রসূতি পূজা মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন বাবা তেঁতুল বারিক ও মা জেরা বারিক। অভিযোগ, প্রসূতি রয়েছে শোনার পরেও চালকের সঙ্গে বন্ধ সমর্থকেরা বচসা শুরু করেন। সেই সময়ে এক বন্ধ সমর্থক চালককে মারধরও করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক।
বিকেলে রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি, “শান্তিপূর্ণ ও সফল বন্ধ হয়েছে। গাড়ি আটকানোর ঘটনাটিও বিশেষ বড় কিছু হয়নি। প্রসূতি রয়েছেন শুনেই গাড়ি ছেড়ে দেয় সমর্থকেরা। পরে তৃণমূলের কয়েক জন গিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে।” তৃণমূলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মণ্ডল আজিজুল অবশ্য বলেন, “বন্ধ ডাকল, গাড়ি আটকাল কংগ্রেস। আর দোষ দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলকে। হাস্যকর ব্যাপার।” সিপিএমের কাটোয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বন্ধ ঘিরে কংগ্রেস নানা জায়গায় হামলা চালিয়েছে।” পুলিশ অবশ্য জানায়, বন্ধ নিয়ে কোথাও হামলার কোনও অভিযোগ তারা পায়নি। |
|
|
|
|
|