লাইনে যুবক, ঘরে মিলল কিশোরীর দেহ |
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক ছাত্রী ও যুবকের। বুধবার কাঁকসার রেলপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃত ওই যুবকের নাম সুনীল অগ্রবাল (৩৭)। বাড়ি পানাগড়ে। মৃত কিশোরী বৈশাখী গড়াই (১৭) কাঁকসা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি শেরপুরে। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, একটি তালা বন্ধ ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বৈশাখীর দেহ উদ্ধার হয়। পানাগড় ও বিরুডিহার মাঝে রেল লাইনে পাওয়া যায় সুনীলের দেহ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীলবাবু পানাগড়ে একটি কাপড়ের দোকানের কর্মী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী গিরিজাদেবী পেশায় একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে অশান্তি চলছিল গিরিজাদেবীর। মাস খানেক আগে তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের দুই ছেলে গিরিজাদেবীর সঙ্গেই থাকে।
এর পর থেকে সুনীলবাবু তাঁর সহকর্মী চন্দন সাউয়ের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বৈশাখীর পরিবার সূত্রে পুলিশকে জানানো হয়েছে, দিন কয়েক আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল বৈশাখী। পুলিশ জানায়, বৈশাখীকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন সুনীলবাবু। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ ফিরেও আসেন দু’জনে। বৈশাখীকে ‘স্ত্রী’ বলে পরিচয় দেন সুনীল। যদিও তার কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ। চন্দনবাবুর স্ত্রী নীতুদেবী পুলিশকে জানান, বুধবার সকালে চন্দনবাবু বাড়িতে ছিলেন না। ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন তিনিও। ফিরে এসে দেখেন সুনীলবাবুর ঘরে তালা দেওয়া। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও কাউকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ খবর দেওয়া পুলিশকে। পুলিশ তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে বৈশাখীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। তাদের অনুমান, ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বৈশাখীকে। কিছুক্ষণ পরে পানাগড় ও বিরুডিহার মাঝে ১০৬ নম্বর পিলারের কাছে রেললাইনে খন্ডিত দেহ উদ্ধার হয় সুনীলবাবুর। দেহ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান, ওই কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সুনীলের। বৈশাখীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। |