পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করল রাজ্যের শ্রম দফতর।
সোমবার বনগাঁর টাউন হলে অসংগঠিত শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পুর্ণেন্দু বসু বলেন, “ইন্দিরা আবাস যোজনার আদলে রাজ্যের অসংগঠিত ক্ষেত্রের নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অর্থ দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। দুটি পর্যায়ে মোট ৪৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।” এ দিন ৯৩৭ জন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা করা হয়। দেওয়া হয় সাইকেল, সামাজিক মুক্তি কার্ড, মৃত্যুকালীন, শিক্ষা, বিয়ে ও অন্ত্যেষ্টিকালীন অনুদান।
শ্রম দফতর সূত্রে খবর, এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রায় ১৮ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে অসংগঠিত শ্রমিকদের হাতে। উপস্থিত ছিলেন জেলার শ্রম আধিকারিক আশিস সরকার, বনগাঁ মহকুমার শ্রম দফতরের সহকারি কমিশনার সাইবুল ইসলাম, মহকুমা শাসক অভিজিত ভট্টাচার্য, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাস, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ। দালালচক্র সর্ম্পকে শ্রমিকদের সচেতন করে শ্রম মন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য দালাল যদি টাকা চায় দেবেন না।” বিগত বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে শ্রমমন্ত্রীর দাবি, “২০০১ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত প্রায় ২২ লক্ষ শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। আমাদের সময়ে দেড় বছরে শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে ১০ লক্ষেরও বেশি। বাম আমলে একজন অসংগঠিত শ্রমিক তাঁর ভবিষ্যনিধি প্রকল্পে মাসে দিত ২০ টাকা। সরকার দিত ২০ টাকা। আমাদের সরকারের আমলে একজন শ্রমিক প্রতিমাসে দেয় ২৫ টাকা। সরকার দেয় ৩০ টাকা।” তাঁর আরও সংযোজন, “বর্তমানে কোন অসংগঠিত শ্রমিকের স্বাভাবিক মৃত্যু হলে সরকার দেবে ৫০ হাজার টাকা। আর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে দেবে দেড় লক্ষ টাকা।”
অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রম মন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজনীতি কুৎসার আখড়া হওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে সবাইকেই সংযত হতে হবে।” |