মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে কাটোয়াতেও আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিল কংগ্রেস। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী, দলের প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য-সহ প্রায় ১২০০ কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে, এই অভিযোগে ওই দুই জেলায় বন্ধ ডেকেছিল কংগ্রেস। সোমবার বিকেলে কাটোয়ার বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও মুর্শিদাবাদে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার জন্য আমরা কাটোয়াতেও বন্ধের ডাক দিয়েছি।”
জেল হেফাজতে থাকাকালীন দলীয় এক কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। সেখানে গিয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। বহরমপুর সার্কিট হাউসে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অধীর চৌধুরী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য-সহ প্রায় ১,২০০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। তারই প্রতিবাদে বন্ধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের সে দিনের আচরণের প্রতিবাদে বন্ধ ডাকার ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রেল প্রতিমন্ত্রী কংগ্রেসের বিধায়ক ও জেলা সভাপতিদের কাছে নৈতিক সমর্থন চেয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস বুধবার বন্ধের ডাক দিয়েছিল। কংগ্রেসের ‘শক্ত ঘাঁটি’ কাটোয়াও বন্ধের পথে হাঁটবে বলে সোমবার বিকেলে জানালেন রবীন্দ্রনাথবাবু। দুই জেলার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ভাবে শুধু কাটোয়া কেন, সে প্রশ্নে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপবাবু বলেন, “প্রতি জেলায় ওই দিন প্রতিবাদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ বন্ধের পথে যেতে পারেন, কেউ পথ অবরোধ বা কালো ব্যাজ পরে মিছিলের কর্মসূচিও নিতে পারেন।” কাটোয়ার তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই বন্ধ ডাকার বিরোধিতা করেছে। বন্ধের বিরুদ্ধে দলের তরফে রাস্তায় নামা হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
কাটোয়ায় বন্ধ ডাকা হলেও বর্ধমানের অন্যত্র অবশ্য শুধু ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আজিজুল হক মণ্ডল। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার আমরা প্রতিবাদসভা করছি। বুধবার প্রতিটি ব্লকে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি নেওয়া হবে।” |