থানায় বৈঠক, এসার প্রকল্পে জট খুলল ফরিদপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • লাউদোহা |
পুলিশের মধ্যস্থতায় আপাতত মিটল এসার অয়েলের কোল-বেড মিথেন প্রকল্পের সমস্যা। সোমবার ফরিদপুর (লাউদোহা) থানায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। পরে দুই পক্ষই জানায়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
ভূগর্ভস্থ গ্যাস তোলার এই প্রকল্পে স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে রবিবার ধবনী ও লবণাপাড়ায় বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। আটকে পড়ে প্রায় কুড়িটি গাড়ি। কাজ শেষে ফেরার পথে আটকে যান সংস্থার কর্মীরাও। ঘণ্টা তিনেক পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে। গ্রামবাসী জানান, ওই দুই গ্রামে এসার সংস্থার দু’টি করে কুয়ো রয়েছে। নাচনেও দু’টি কুয়ো খোঁড়ার কাজ চলছে। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই ছয়টি কুয়োয় নিরাপত্তারক্ষী, মজুর ও ঝাড়ুদার পদে ১৬ জন করে স্থানীয় বাসিন্দাকে নিয়োগ করতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, প্রকল্পের ভারী গাড়ি চলাচল করায় রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ছে। গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এসার কর্তৃপক্ষ। তা-ও মানা হয়নি। জমি দিয়ে অনেকে দাম না-পাওয়ারও অভিযোগ তোলেন। তার প্রতিবাদেই খাবার ও পানীয় জল বাদে প্রকল্পের অন্যান্য গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছিল।
এ দিন থানায় এসার অয়েলের তিন প্রতিনিধি ১০ জন গ্রামবাসীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি সন্দীপ চট্টরাজ। গ্রামবাসীদের নেতৃত্ব দেন ব্লক তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায়। ঘণ্টাখানেক ধরে চলা বৈঠকে দুই পক্ষই নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। বৈঠক শেষে সুজিতবাবুর দাবি, আপাতত নতুন কুয়োগুলিতে নিরাপত্তারক্ষী পদে পাঁচ জন করে স্থানীয় বাসিন্দাকে নিতে রাজি হয়েছে এসার। সাত দিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। জমি সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে পরিদর্শনও করবেন। এর পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এলাকা উন্নয়নের জন্যও এক মাসের মধ্যে পরিদর্শনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে এসার। সুজিতবাবু বলেন, “গ্রামবাসীরা আপাতত খুশি। এখন দেখার কর্তৃপক্ষ কতটা কী করেন।” এসারের তরফে কেউ অবশ্য এই সব নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এক প্রতিনিধি শুধু বলেন, “দু’পক্ষই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বসেছিলাম। আশা করি, আমাদের কাজ চালাতে আর সমস্যা হবে না।” |