টুকরো খবর
নিম্নমানের অভিযোগে খাবার বয়কট রোগীদের
একে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ। তার উপর কারণে-অকারণে হাসপাতালের কর্মীদের দুর্ব্যবহার। এর প্রতিবাদে রবিবার সকালে কল্যাণীর ইএসআই হাসপাতালের জনা পঞ্চাশ রোগী সকালে তাঁদের খাবার বয়কট করলেন। রোগীদের অভিযোগ, দুপুর ও রাতের খাবার কোনওক্রমে মুখে তোলা গেলেও, দু-বেলা যে খাবার দেওয়া হয় তা মুখে তোলাই দায় হয়ে উঠছে।কেন? রোগীদের অভিযোগ, সকালে দুধের নামে তাঁদের যা দেওয়া হয় তা প্রায় সাদা জল। পচা কলা কিংবা মিইয়ে যাওয়া বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। এ দিন সকালের খাবার খেতে রোগীরা অস্বীকার করেছেন শুনেই হাসপাতালে যান কল্যাণীর মহকুমাশাসক শৈবাল চক্রবর্তী, এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন। শৈবালবাবু বলেন, “রোগীদের সত্যিই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। দুর্ব্যবহারের অভিযোগও নতুন নয়।” হাসপাতাল সুপার অমিতাভ সাহা বলেন, “রোগীদের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন থেকে খাবারের মানের দিকে নজর দেওয়া হবে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে সুপারের আশ্বাসের পরে অবশ্য রোগীরা ‘অনশন’ তুলে নেন।

রক্ষীর নজর এড়িয়ে রোগী রাস্তায়, চাঞ্চল্য
রক্ষীদের নজর এড়িয়ে অগ্নিদগ্ধ এক রোগীর হাসপাতাল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মেদিনীপুরে। প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে। হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এস রামান্না নামে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা শুক্রবার নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। ওই মহিলার বাড়ি খড়্গপুরের নিমপুরায়। পরিবারের লোকজন প্রথমে তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার দুপুরে আচমকাই ওই মহিলা বার্ন-ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় চলে আসেন। ওই মহিলাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। পরে হাসপাতালের কর্মীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সব সময়ই নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাতায়াতের মূল ফটকে রক্ষীরা নজরদারি চালান। ফলে, কোনও রোগীরই নজর এড়িয়ে ওয়ার্ড থেকে বাইরে আসার সম্ভাবনা নেই। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, একাংশ রক্ষী ও হাসপাতাল কর্মী দায়িত্ব পালন করলে এমন ঘটনা ঘটত না। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুপারের বক্তব্য, “তদন্ত শুরু হয়েছে।”

বেহাল ব্লাড-ব্যাঙ্ক
দেওয়াল জুড়ে ফাটল। স্যাঁতসেতে ঘরে একাধিক বার শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটেছে। এমনই বেহাল ও বিপজ্জনক অবস্থায় চলছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়া হলে বিকল হতে পারে একাধিক ফ্রিজ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। ব্লাড ব্যাঙ্কের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “রাজ্য স্বাস্থ্যকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।” যদিও স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত হাসপাতাল কর্তার ওই বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক বেহাল। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিধায়ক বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কয়েকবার সমস্যার কথা জানিয়ে লাভ হয়নি। আগামী বিধানসভা অধিবেশনে বিষয়টি তুলে ধরব।” হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির অন্যতম সদস্য অরিন্দম সরকার বলেন, “রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল ব্লাড ব্যাঙ্ক ঘুরে দেখেছেন। তাঁরা দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করার আশ্বাসও দিয়েছেন।” কিন্তু সেই কাজ কবে শুরু হবে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলতে পারছেন না। ১৯৯৭ সালে হাসপাতালের বহির্বিভাগকে সংস্কার করে ব্লাডব্যাঙ্ক চালু করা হয়। এক জন চিকিৎসক এবং ৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী ব্লাডব্যাঙ্কে কাজ করেন। রক্ত, রক্তের নানা নমুনা সংরক্ষণের জন্য ৮টি বড় ফ্রিজ রয়েছে। এছাড়াও আছে ৪টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। ব্লাডব্যাঙ্কের টেকনিশিয়ান অনির্বাণ বেরা বলেন, “তৈরির পরে সংস্কারের কাজ হয়নি। সামান্য বৃষ্টি হলে জল পড়ে। কুয়াশা বেশি হলেও দুটি ল্যাবরেটরির ছাদ চুঁইয়ে দেওয়াল ভিজে যায়। একাধিক ঘরের ছাদ ও দেওয়ালে ফাঁটল ধরেছে।” ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক চিকিৎসক প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কেন দ্রুত সারানো হচ্ছে না জানি না।”

ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকান
রবিবার আসানসোলে। —নিজস্ব চিত্র।
আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যে ওষুধের দোকান চালু হল রবিবার। এ দিন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক এই দোকানের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মহকুমাশাসক তথা রোগীকল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান শিল্পা গৌরী সারিয়া।

চিকিৎসা শিবির
রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ পাঠচক্র, চিত্তরঞ্জনের উদ্যোগে বিনা খরচে দন্ত চিকিৎসা শিবির আয়োজিত হল রবিবার। ছ’জন ডাক্তার ১০০ জনের দাঁত পরীক্ষা করেন। আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন হিরাপুরে বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রক্তের শ্রেণি নির্নয় শিবিরের আয়োজন করে।

ঝাড়গ্রামে পদযাত্রা
স্টুডেন্টস্ হেলথ হোম, ঝাড়গ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্যোগে তামাকজাত নেশার দ্রব্য বর্জনের ডাক দিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। কয়েক হাজার স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে পদযাত্রাটি শনিবার ঝাড়গ্রাম শহর পরিক্রমা করে। পদযাত্রায় যোগ দেন শিক্ষাব্রতী অমলেন্দু জানা, ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুদীপ কাঁড়ার, ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার প্রমুখ।

স্বাস্থ্য শিবির
রবিবার একটি চক্ষু ছানি নির্ণয় শিবিরের আয়োজন করে মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রায় ৩০০ জন বাসিন্দার বিনা মূল্যে ছানি পরীক্ষা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডিভিসি-র ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস এ কে অগ্রবাল, মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস মিত্র প্রমুখ।

ওষুধের দামে রাশ
ওষুধের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ও জাতীয় প্রয়োজনীয় তালিকা অনুযায়ী ৩৪৮টি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের দাবিতে শনি ও রবিবার এক সম্মেলনের আয়োজন করে ‘অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেল্স রিপ্রেজেন্টেটিভ্স ইউনিয়ন’। সংগঠনের সম্পাদক আশিস সেনগুপ্ত রবিবার বলেন, “বহুজাতিক সংস্থাগুলি দেশীয় সংস্থাগুলিকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সচেতন না হলে সাধারণ মানুষের জন্য আরও ভোগান্তি অপেক্ষা করছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.