টুকরো খবর
দর্শকদের উপরে লাঠি, অভিযোগ
সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের খেলা দেখতে যাওয়া দর্শকদের একাংশের উপরে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে। পুলিশের লাঠির আঘাতে এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের চিত্রগ্রাহক সহ বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। সেখানে থাকা মহিলাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এক পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে লাঠিচার্জ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। খেলা শেষ হওয়ার পরেও দ্বিতীয় দফায় লাঠিচার্জ করা হয়। পুলিশ লাঠিচার্জের কথা স্বীকার করছেন না। শিলিগুড়ির ডেপুটি কমিশনার ও জি পাল বলেন, “মাঠে ছিলাম। লাঠিচার্জ হয়নি।” দর্শকদের অভিযোগ, স্টেডিয়ামে যাওয়ার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর গেটের সামনে সন্ধ্যায় ভিড় উপচে পড়ে। অভিযোগ, টিকিট নিয়েও অনেকে ভিতরে ঢুকতে পারেনি। ওই দর্শকরাই পুলিশকে টিকিট দেখিয়ে ভিতরে ঢোকার অনুমতি চায়। সে সময় স্টেডিয়ামে ভিড় থাকায় তাঁদের ভিতরে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা নিয়েই এক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে তারা। ওই অফিসারের নির্দেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সেখান থেকে দর্শকদের সরায় বলে অভিযোগ। রাতে খেলা শেষে ফের কয়েকজনকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, “লাঠিচার্জ হয়েছে বলে শুনিনি। তবে করা হলে তা ঠিক হয়নি।”

ব্লক কৃষি দফতর সরানোর দাবি চাষিদের
ব্লক কৃষি দফতর আলিপুরদুয়ার শহর থেকে যশোডাঙ্গায় স্থানান্তরের দাবিতে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, ১২ বছর আগে আলিপুরদুয়ার থেকে যশোডাঙ্গায় বিডিও অফিস স্থানান্তর করা হয়। কয়েকবছরের মধ্যে ভুমি রাজস্ব, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ, মত্স, প্রানীসম্পদ দফতর থেকে শুরু করে সরকারি সমস্ত অফিস বিডিও অফিস ক্যাম্পাস এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আনা হয়েছে। অথচ ব্লক কৃষি দফতর আলিপুরদুয়ার শহরেই রয়ে গেছে। এতে এলাকার কয়েক লক্ষ কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মহকুমা কৃষি আধিকারিক গোপাল চন্দ্র সাহা জানান, ব্লক কৃষি দফতর যশোডাঙ্গায় স্থানান্তর করার ব্যাপারে প্রধান অন্তরায় জায়গা। উপযুক্ত জায়গা পাওয়া গেলে দফতর স্থানান্তর করা কোন সমস্যা হবে না। এই বিষয়ে চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে সিপিএম, তৃণমূল এবং কংগ্রেস।

এলাচ চুরির অভিযোগ
কোটি টাকার এলাচ চুরি করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে শিলিগুড়ির দুই ব্যবসায়ীর। অভিযুক্তদের একজন প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য নার্সিংহোমের চারদিকে নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই ওই ব্যবসায়ী অসুস্থতার ভান করে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন। আরেক অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর ভাই পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই দুই ব্যবসায়ী এলাচের কারবার করেন। তাঁদের দুটি গুদাম ঘর থেকে চুরি যাওয়া এলাচের বস্তা উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুটি গুদামের ম্যানেজার শ্যামল চৌধুরী ও শর্মাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এখনও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।” গত ১১ জানুয়ারি একটি ট্রাক ভাড়ায় নিয়ে এলাচ ভর্তি করে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ পাঠায়। ট্রাকটি বিহারে ঢোকার পরই এলাচ নামিয়ে ফের শিলিগুড়ি এনে ওই দুই ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ।

জেলা সম্মেলন
বাম আমলে শিক্ষকদের জন্য বেশ কিছু ভাল পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির এক প্রবীণ সদস্য। রবিবার শিলিগুড়ির গার্লস হাইস্কুলের হলঘরে সংগঠনের দার্জিলিং জেলা সম্মেলনে ওই কথা বলেন ধীরেন্দ্র নাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাম আমলে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। কংগ্রেস আমলে সেভাবে বেতন বৃদ্ধি হয়নি। পেনশন স্কীমের কৃতিত্ব বামেদের। সে সময় শিক্ষকদের উপরে অত্যাচার, নিপীড়ন চললেও কিছু ভাল পদক্ষেপ করা হয়েছে। বর্তমানে পেনশন সমস্যা শুরু হয়েছে।” ধীরেন্দ্রনাথবাবু বামেদের প্রশংসা করায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে সংগঠনের নেতারা। পরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বক্তব্য দিতে উঠে বলেন, “বাম আমলে যা কিছু তার থেকে বেশি ক্ষতি করা হয়েছে। এ দিন দেবাংশু শেখর দাসকে সভাপতি ও সুজিত দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৫ জনের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ছিলেন কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব ও মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার।

শ্রমিকের পাশে এনইউপিডব্লুউ
বন্ধ হয়ে যাওয়া মধু চা বাগানের শ্রমিক ও তাদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়াল এনইউপিডব্লুউ। রবিবার সকালে কালচিনি ব্লকের বন্ধ মধু চা বাগানের ৯০০ শ্রমিককে চাল, তেল, বাধাকপি দেওয়া হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক প্রভাত মুখোপাধ্যায় জানান, ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে মধু চা বাগান বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন বৈঠকে বাগান খোলা নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র বার হয়নি।

১৩ দুঃস্থের পাশে ট্রাস্ট
দুঃস্থ মেধাবীদের সাহায্য করল একটি বেসরকারি এডুকেশন্যাল ট্রাস্ট। রবিবার ট্রাস্টের তরফে ১৩ পড়ুয়াকে সাহায্য করা হয়। আলিপুরদুয়ারের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অমিত মিত্র ও রত্না মিত্র এডুকেশনাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অনুজকান্ত মিত্র জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা ১৩ জন দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়ার হাতে এক হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.