সংস্কৃতি যেখানে যেমন

মধুকবির জন্মদিন
যদুভট্ট মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিন পালিত হল কাশীপুরে। ২৫ জানুয়ারি কবির জন্মদিনে কাশীপুর তরুণ সঙ্ঘ গ্রন্থাগার ময়দানে কবির আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন ‘অমিত্রাক্ষর’-র সদস্যেরা। সংগঠনের পক্ষে জগন্নাথ দত্ত জানিয়েছেন, ১৮৭২ সালে মধুকবি কাশীপুরে পঞ্চকোটের তৎকালীন রাজা নীলমণি সিংহ দেও-র সময়কালে আইন উপদেষ্টা পদে পঞ্চকোট রাজ এস্টেটে কর্মসূত্রে কিছুদিন কাটিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় কবি পঞ্চকোট গিরি, পঞ্চকোট রাজশ্রী ও পঞ্চকোট গিরি বিদায় সঙ্গীত নামে তিনটি কবিতা লিখেছিলেন। পরবর্তীকালে কাশীপুরে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এসে মধুকবির এই আবক্ষমূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছিলেন।

গড় রাইপুরে অনুষ্ঠান
গড় রাইপুর হাইস্কুলের ৭৫ বর্ষ পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠান হয়েগেল। উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আবৃত্তি, গান, ক্যুইজ, রণপা, সাঁওতালী নাচ ও নাটক-সহ নানা অনুষ্ঠান হয়। এ ছাড়াও ‘রাইপুরের প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতি’ নিয়ে একটি আলোচনা হয়। অন্য দিকে, রাইপুরের চাতরির পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস উদ্বোধন উপলক্ষে সম্প্রতি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। স্কুলের ছাত্রীদের পরিবেশনায় নৃত্যানুষ্ঠান নজর কাড়ে।

সাংস্কৃতিক শিবির
বড়জোড়া থানা ময়দানে দীপাবলি সব পেয়েছির আসরের উদ্যোগে বড়জোড়া পঞ্চায়েত ও বড়জোড়া থানার সহযোগিতায় তিন দিনের একটি সাংস্কৃতিক ও শারীর শিক্ষা প্রশিক্ষণ শিবির হল। বড়জোড়া অঞ্চলের ২৫টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় ৩০০ ছাত্রছাত্রীকে লোকনৃত্য, সঙ্গীত, কুচকাওয়াজ, সমবেত ব্যায়ামের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

রসুলপুর উৎসব
পাঁচ দিনব্যাপী ‘রসুলপুর উৎসব ২০১৩’ হয়ে গেল সম্প্রতি। পাত্রসায়র থানার রসুলপুর গ্রামে তিনদিনের ওই অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, নাচ-গান, ক্যুইজ, কাঠিনাচ, কবিগানের তরজা থেকে নাটক, ছৌনাচ-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ছিল জমজমাট মেলা। উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অদীপকুমার রায়।

ভ্রমণের সঙ্গে গান
বিষ্ণুপুর ঘরানার প্রসারের উদ্দেশে সরকারি উদ্যোগে ট্যুরিস্ট লজে ছুটির দিনগুলিতে শুরু হয়েছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। সম্প্রতি সেই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করলেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুরে বেড়াতে আসা পর্যটকদের দাবি, সঙ্গীতের শহরে আমাদের কাছে এই গান শোনা এক অতিরিক্ত পাওনা।

কুকরাকন্দরে অনুষ্ঠান
নেতাজি জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সিমলাপালের কুকরাকন্দর ইউনাইটেড স্পোর্টিং ক্লাব। রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুলগীতি, আবৃত্তি, ক্যুইজ, যেমন খুশি সাজো-সহ নানা প্রতিযোগিতা হয়। ছিল নৃত্যানুষ্ঠান, বাউল, আদিবাসী নৃত্য ও ‘নেতাজির ভাবনায় নারীর সম্মান’ বিষয়ে একটি আলোচনাসভা।

আনাড়ায় অনুষ্ঠান
রাজীব গাঁধী মেলা উপলক্ষ্যে সাত দিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা হয়ে গেল আনাড়ায়। ২৬ জানুয়ারি রায়বেশে ও রণপা নাচ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে মঞ্চে নাচ পরিবেশন করে এলাকার খুদে শিল্পীরা। অন্য দিনগুলিতে ছিল বীরভূমের বাউল শিল্পী নিতাই দাস ও সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান, ছৌনাচ ও সমেবত নাচের অনুষ্ঠান। এ ছাড়া বসে আঁকো, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয় শেষের দু’দিন যাত্রা অনুষ্ঠান হয়।

২৫শে বৈতালিক
বাঁকুড়া শহরের নুনগোলা রোডের বৈতালিক ক্লাবের ২৫তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। বঙ্গবিদ্যালয়ে এই প্রতিযোগিতা হয়। আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য ও অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অনেকে যোগ দেন।

বার্ষিক অনুষ্ঠান
রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র।
রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনে তিন দিন ব্যাপী বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। অনুষ্ঠানে লোকগীতি, বাউল, ভক্তিগীতি, পদাবলি কীর্তনের সঙ্গে ছিল ধর্মসভা।

সুকুমার চৌধুরী
সঙ্গীতশিল্পী।
সুমন, অঞ্জন, নচিকেতা। আর আছে বাংলা ব্যান্ড। এই সময়ে দাঁড়িয়ে নবীন প্রজন্মের একটা বড় অংশেরই গানের জগতে আগ্রহের জায়গা কতকটা এমনই। তার মাঝেই কখনও কখনও ভেসে আসেন শ্যামল মিত্র, সতীনাথেরা। কেউ কেউ গেয়ে ওঠেন ‘সেদিনের সোনা ঝরা সন্ধ্যায়’, ‘জীবন খাতায় প্রতি পাতায়’, বা ‘তিনটি মন্ত্র নিয়ে যাদের জীবন’-এর মতো গান। তাতেই খুশি হয়ে ওঠেন অনেকেই। আজও বহু শ্রোতাই এমন কালজয়ী গান মন দিয়ে শোনেন। আজও এই ধরনের গান গেয়ে চলেছেন সিউড়ির সঙ্গীতশিল্পী সুকুমার চৌধুরী। মাত্র আট বছর বয়স থেকেই গানের চর্চা শুরু। প্রথমে গুরু হিসাবে পেয়েছিলেন সিউড়ির ভোলানাথ ভাণ্ডারী ও নলহাটির গৌর দাসকে। পরে পেয়েছেন কলকাতার প্রবীর মজুমদার ও অংশুমান রায়কে। সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রোতামহলের কাছে তিনি ‘শ্যামল কণ্ঠী’ হিসাবে আলাদা একটা পরিচিতি পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে সিউড়ির বিভিন্ন বিচিত্রানুষ্ঠানে তাঁর গান শুনতে পাওয়া যায়। নিজে বহু গান লিখেছেন, সুরও দিয়েছেন। আকাশবাণী বহরমপুর ও শান্তিনিকেতন কেন্দ্রে সেই সব গান শুনতেও পাওয়া যায়। এখনও অবধি হাজারেরও উপর মঞ্চানুষ্ঠান করেছেন সুকুমারবাবু। সিউড়ির প্রাচীন আনন নাট্যগোষ্ঠীর ‘টাইটেল সঙ’ ‘ভারত আমার সবার সেরা, তারও বেশি বঙ্গ’ গানটির (শিক্ষক বিদ্যুৎ চৌধুরীর লেখা) সুর তাঁরই তৈরি।

লোক উৎসব
গাজন হোক বা ঝুমুর, ভাঁজো লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ধরা রয়েছে সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যেপাধ্যায়ের কোনও না কোনও উপন্যাস বা গল্পে। রাঢ়বঙ্গের সেই কথাশিল্পীকে নানা ভাবে উপস্থাপিত করে চলেছে তাঁরই গ্রাম লাভপুরের ‘বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী’। ওই সংস্থা গত ২৫-২৭ জানুয়ারি একটি ‘লোক উৎসব’-এর আয়োজন করেছিল। ছিল লোকসংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা, লোক সংস্কৃতির প্রদর্শনীও। মঞ্চস্থ হয় লোক সংস্কৃতি নির্ভর পাঁচটি নাটক। যার মধ্যে চারটি দলই এসেছিল জেলার বাইরে থেকে।

রাঢ়কথা
অনিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হলেও ‘রাঢ়কথা’ বীরভূমের গবেষণাধর্মী পত্রিকাগুলির অন্যতম। পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যার বিষয় ‘চণ্ডী: লোকনাট্য লোকগানে’। ওই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে রমেশ চক্রবর্তীর নাটক ‘লোকনাট্য চণ্ডী যাত্রা’। নাটকে চণ্ডীকে দেখানো হয়েছে ধনপতির স্ত্রী হিসাবে। অন্য প্রবন্ধগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ব্রতকথার চণ্ডী’, ‘চণ্ডীর অষ্টমঙ্গলা’, ‘চণ্ডী: পটের গান’, ‘বীরভূমের কথ্য ভাষা: শব্দ কোষ’। এ ছাড়া আরও কয়েকটি মূল্যবান লেখায় সমৃদ্ধ ‘রাঢ়কথা’-র এই নতুন সংখ্যা।

নাট্য উৎসব
ইলোরা নাট্যসংস্থার ‘হৃদয়পুরে কতদূর’ নাটকের দৃশ্য।
সারা বছর ধরেই নাট্য প্রযোজনা করে বীরভূমের সাঁইথিয়া আসর নাট্যম সংস্থা। এ বার ওই সংস্থা তিন দিনের একটি নাট্য উৎসবের আয়োজন করল। গত ২৬-২৮ জানুয়ারি স্থানীয় রবীন্দ্রভবনে হয়ে গেল সেই উৎসব। বীরভূমের পাঁচটি নাট্যসংস্থার পাশাপাশি জেলার বাইরে থেকেও বেশ কয়েকটি দলও ওই নাট্য উৎসবে নিজেদের নাটক মঞ্চস্থ করে। উৎসবের ছ’টি নাটকই দর্শকরা উপভোগ করেছেন।

সংক্ষেপে
প্রিয়াঙ্কা সি-এর নৃত্যানুষ্ঠান।
সম্প্রতি স্থানীয় রবীন্দ্রভবন মঞ্চে হয়ে গেল সাঁইথিয়ার প্রিয়াঙ্কা (সি) নৃত্যকেন্দ্রের প্রথম বর্ষপূর্তি উৎসবে বর্ণাঢ্য নৃত্য অনুষ্ঠান। সেখানে তিন থেকে চব্বিশ বছরের শিল্পীরা এগারোটি নৃত্য পরিবেশন করেন।

সংক্ষেপে
• বড়জোড়া বিদ্যুৎ সঙ্ঘের উদ্যোগে শনিবার আবৃত্তি প্রতিযোগিতা হল। তিনটি বিভাগে প্রায় ৫০ জন যোগ দেন।

• দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে বাঁকুড়ার আগামী সংস্কৃতি মঞ্চ তিন দিনব্যাপী একটি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাঁকুড়া গার্লস হাইস্কুলে। কয়েকশো প্রতিযোগী যোগ দেয়।

• অহিরা পত্রিকা-র উদ্যোগে কবিতা পাঠ ও গানের একটি অনুষ্ঠান হল রানিবাঁধে। রানিবাঁধ হাইস্কুলের কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠানটি হয়। কয়েকজন বিশিষ্ট কবি ও শিল্পী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।

• বড়জোড়া নৃত্যকলা অ্যাকাদেমির ১৪তম বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল শনিবার, বড়জোড়া বিজয়া ময়দানে। অনুষ্ঠানে ওই অ্যাকাদেমির প্রায় ৫০ জন ছাত্রছাত্রী সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করে।

• পঞ্চকোটরাজ ভগিনী নিবেদিতা বিদ্যাপীঠের চর্তুদশ প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনসভা হল কাশীপুরে। ২৮ জানুয়ারি সকালে রামকৃষ্ণদেব ও বিবেকানন্দের ছবি নিয়ে বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি হয়।

• স্কুলের পড়ুয়ারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। ওই দিন বিবেকানন্দের নামাঙ্কিত ছাত্রাবাসের উদ্বোধন করেন বিদ্যাপীঠের সভাপতি স্বামী ভাস্করানন্দ।

• সাঁইথিয়া থানার ভবানীপুর সপ্তপদী সংস্কৃতি সোসাইটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে গত ২৬ জানুয়ারি ‘কালের বালি’ শীর্ষক নাটক মঞ্চস্থ করে।

• সিউড়ির ‘শান্তিনিকেতন স্কুল অফ আর্ট’-এর উদ্যোগে গত ২৭ জানুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করল স্থানীয় সিধো-কানহু মুক্ত মঞ্চে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.