জনবহুল এলাকায় বেহাল সেতুর উপর দিয়েই নিত্য পারাপার। শুরু হয়নি মেরামতির কাজ। ফলে যে কোনও সময় ঘটতেই পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।
উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের কামিয়া গ্রামে তুলসীবেড়িয়া রোডে বনস্পতি খালের উপর পূর্ত দফতরের তত্ত্বাবধানে ‘ঢালাই পোল’ নামে এই সেতুটি তৈরি হয়েছিল ১৯৭০ সাল নাগাদ। লম্বায় ১২০ ফুট এবং চওড়ায় প্রায় ২৫ ফুট। সেতুটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে পূর্ত দফতরের তরফে তেমন নজর দেওয়া হয়নি বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। সেতুটির রেলিং ভাঙা। দু-পাশের ফুটপাথের কিছুটা ভাঙা। গত জুলাই মাসে বর্ষার সময়ে সেতুটির মাঝখানে পাঁচ ফুট ব্যাসের সিমেন্টের স্ল্যাব ধসে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়।
এই ঘটনার পর পূর্ত দফতর থেকে বালির বস্তা দিয়ে সেতুটির উপরের অংশ ঘিরে দেওয়া হয়। সেতুর নীচে পিলারের কাছে বালির বস্তা দিয়ে উঁচু করে সাজিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া টাঙিয়ে দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তি, ‘দুর্বল সেতু। ১২ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ’ । কিন্তু তাতে সেতুর হাল ফেরেনি। কমেনি তার উপর দিয়ে চলাচলের ঝুঁকিও। |
প্রাণ হাতে...। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
সেতুটির উপরে নির্ভরশীল আশপাশের গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। অদূরেই কামিয়া হাইস্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। অভিরামপুর, সুনন্দা, চকভগবতীপুর, তুলসিবেড়িয়া, খানপুর, কুমারচক, গোবিন্দচক ইত্যাদি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষও প্রতিদিন এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। বাস, লরি, মোটর বাইকের যাতায়াতও লেগে আছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান মদন মণ্ডল বলেন, “দীর্ঘদিন সেতুটি বেহাল। মেরামতির ব্যাপারে আমি দীর্ঘদিন ধরে পিডব্লুডির অফিসে জানিয়ে আসছি। মেরামতের কাজ শীঘ্র আরম্ভ করা দরকার।” পিডব্লুডির সহকারী বাস্তুকার দীপক চন্দ্র বলেন, “আমরা সেতুটির মাপজোক, ড্রইং সমস্ত কিছু করে সেচ দফতরে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। ওখান থেকে অর্ডার পাশ হয়ে এলে আমরা প্রথমে টেন্ডার ডাকব। তারপর কাজ আরম্ভ হবে।”
আর যত দিন তা না হচ্ছে, এ ভাবেই প্রাণ হাতে যাতায়াত করা ছাড়া কী-ই বা করার আছে এলাকার মানুষের। |