টুকরো খবর
দায় সারছে তৃণমূল, ফের সরব সিপিএম
ত্রিফলা-কাণ্ডে আধিকারিকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে তৃণমূল কেন দায় সারতে চাইছে, তা নিয়ে ফের সরব হল সিপিএম। শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যে ভাবে মাত্রা চড়াতে শুরু করেছে প্রধান বিরোধী দল, তাতে ত্রিফলা-কাণ্ড যে অন্যতম হাতিয়ার হবে, রবিবার ফের তা স্পষ্ট।শহিদ মিনার ময়দানে এ দিন কলকাতা জেলা সিপিএমের সমাবেশে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে শুরু করে কলকাতা পুরসভার বিরোধী নেত্রী রূপা বাগচি তৃণমূল নেতৃত্বের জবাবদিহি চেয়েছেন। দিলীপ সেন, রবীন দেব, মানব মুখোপাধ্যায়, রাজদেও গোয়ালার মতো কলকাতা জেলা সিপিএমের নেতারাও ত্রিফলা-কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেছেন, কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজি নন। বরং যে কোনও ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্বৈরাচারী মনোভাব’ এখন বাইরে বেরিয়ে পড়ছে!বিরোধী দলনেতা সূর্যবাবুর অভিযোগ, কলকাতার রাস্তায় লাগানো ত্রিফলা আলোর অনেক স্তম্ভেরই একটা বা দু’টো আলো এখন জ্বলছে না। কোনও কোনও স্তম্ভের পুরোটাই নিষ্প্রদীপ, এমনও দেখা যাচ্ছে। সূর্যবাবু এ দিন বলেন, “ত্রিফলা কেলেঙ্কারিতে ডিজি (আলো)-কে শাস্তি দিলেন। দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইলেন। মুখ্যমন্ত্রী আগে ক্লিন চিট দিয়েছিলেন (মেয়রকে)। এখনও কি তা-ই দেবেন?” রূপারও অভিযোগ, আধিকারিকদের ঘাড়ে খাঁড়া চাপলেও ‘নাটের গুরু’ আসলে মেয়র! তৃণমূল পুরবোর্ডের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হবে? কলকাতা পুরসভার বিরোধী নেত্রীর আরও বক্তব্য, “শহরের উন্নয়ন, সৌন্দর্যায়ন এ সবের বিরোধী আমরা নই। রাস্তার ধারে আলো লাগাচ্ছেন। কিন্তু বস্তি উন্নয়নের কী হবে? বস্তিবাসীর হাতে কি দেবেন? লণ্ঠন?”

জেলে বসেই তোলাবাজি, সেলে মিলল মোবাইল
লাগাতার তল্লাশি, দফায় দফায় কর্তাদের বৈঠক সত্ত্বেও জেলে মোবাইল ফোনের রমরমা বন্ধ হচ্ছে না। জেলে বসে ফের মোবাইলের সাহায্যে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দমদম সেন্ট্রাল জেলে অমিত সরকার নামে এক বিচারাধীন বন্দির সেলে সিমকার্ড-সহ একটি মোবাইল পাওয়া যায়। অভিযোগ, কল্যাণীর বাসিন্দা অমিত জেল থেকে ফোন করে হালিশহরের এক ব্যবসায়ীর কাছে টাকা চায়। ওই ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ জানালে অমিতের সেলে তল্লাশি চালানো হয়। সেপ্টেম্বরে লাগাতার তল্লাশি চালিয়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে ৫০টিরও বেশি মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে সিআইডি জেনেছে, জেল থেকে বিভিন্ন বন্দি মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে তোলাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগেই জেলে বসে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী গুড্ডার বিরুদ্ধে। কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা জানতে পারে, গুড্ডা জেলে বসে ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা চাইত আর সেই টাকা আদায় করে আনত তার দুই শাগরেদ। ফাঁদ পেতে গুড্ডার দুই শাগরেদকে গ্রেফতার করা হয়। আলিপুর জেলে বসে পাকিস্তানে ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন তথ্যকেন্দ্রের সামনে হামলার অন্যতম আসামি আফতাব আনসারির বিরুদ্ধেও। জেলে দেদার মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগ আসায় দফায় দফায় বৈঠক করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলে মোবাইল আটকাতে কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তার পরেও জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে, এ দিনের ঘটনা তারই প্রমাণ বলে মনে করছেন কারা দফতরের এক শ্রেণির কর্তা।

পুকুরে যুবকের দেহ, উত্তেজনা
তিলজলা এলাকায় রবিবার দুপুরে পুকুর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধারের পরে গোলমাল ছড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আসরফ জামাল (২৫)। শনিবার থেকে নিখোঁজ ওই যুবকের দেহ এ দিন পাওয়া যায় তিলজলার ছাপ্পান্নতলা এলাকার একটি পুকুরে। মৃতের শাশুড়ি জুবেদা খাতুন ও স্ত্রী সুলতানা বেগমের অভিযোগ, পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়েই আসরফ পুকুরে পড়ে যান। জুবেদা জানান, আসরফ ঠেলাগাড়িতে ফল বেচতেন। শনিবার কাদির নামে এক যুবককে নিয়ে তিনি ছাপ্পান্নতলায় ফল বেচতে যান। তখন পুলিশ কয়েক জন মদ্যপকে তাড়া করে। পুলিশের ভয়েই পুকুরে লাফ দেন আসরফ। কাদির পালান। তিনি বাড়ি গিয়েও আসরফের সম্পর্কে কিছু জানাননি। এ দিন সকালে জুবেদা ও সুলতানা পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে পুকুরে নামানো হয়। তারাই আসরফের দেহ উদ্ধার করে। জুবেদার অভিযোগ, আসরফকে পুকুরে লাফাতে দেখেও পুলিশ তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। অভিযোগ অস্বীকার করে লালবাজারের এক কর্তা বলেন, “ওই এলাকায় দিনেদুুপুরে মদ খাওয়া রুখতে অভিযান চালানো হয়েছিল। চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়। তবে কাউকে জলে লাফাতে দেখা যায়নি।” কী ভাবে ওই যুবক পুকুরে পড়ে গেলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

উডবার্ন ওয়ার্ডে আরাবুল
এসএসকেএম হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট থেকে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এ বার উডবার্ন ওয়ার্ডে। সিপিএম বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লাকে মারধর এবং সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগে গ্রেফতারের পরে এই নিয়ে দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়। শনিবার রাতে তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডের কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বুকে ব্যথা-সহ নানা অসুখের কারণ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও প্রাথমিক পরীক্ষায় চিকিৎসকেরা সেই রোগের প্রমাণ পাননি বলে পিজি সূত্রের খবর। এক জন বিচারাধীন বন্দিকে উডবার্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হল কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। পিজি-র সুপার তমালকান্তি ঘোষ জানান, পুলিশের কাছ থেকে আরাবুলের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ এসেছে। তার ভিত্তিতেই তাঁকে পাঠানো হয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ডে।

মিনিবাস উল্টে জখম ১৬
দুর্ঘটনার পরে চলছে উদ্ধারকাজ।রবিবার।— নিজস্ব চিত্র।
সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে মিনিবাস উল্টে আহত হলেন ১৬ জন। রবিবার, মেয়ো রোডে। এসএসকেএমে মীরা বেদী নামে এক আহত মহিলাকে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, শহিদ মিনারে বামফ্রন্টের সমাবেশে যোগ গিতে ৩৫ জন সমর্থক মিনিবাসটি করে আসছিলেন শীলপাড়া থেকে। মেয়ো রোডে জে কে আইল্যান্ডের কাছে উল্টে যায় বাসটি। কাছেই ছিল আপৎকালীন সময়ে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত কলকাতা পুলিশের একটি গাড়ি। তাতে করেই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে প্রদীপ রীত নামে এক ব্যক্তি জানান, বাসটি খুব জোরে চলছিল। চালককে সাবধান করা হলেও তিনি শোনেননি। আর এক যাত্রী বিশ্বনাথ রায় বলেন, “বাসটা উল্টে যাওয়ায় আমরা একে অন্যের উপর পড়ি। পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।”

গুদামে আগুন
রবিবার দুপুরে খিদিরপুর ট্রাম ডিপোর সামনে একটি খড়ের গুদামে আগুন লাগে। স্থানীয়েরাই দমকলে খবর দেন। আসে দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই গুদামের পিছনে মাদকাসক্তদের আড্ডা। সেখান থেকেই আগুন লেগেছে।

দুষ্কৃতীরা অধরা
বরাহনগরে দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা এবং তার প্রতিবাদে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও দুষ্কৃতীরা অধরা। পুলিশের অবশ্য দাবি, অপরাধীদের ছবি দেখে দুই ছাত্রী এবং গুলিবিদ্ধ যুবকের দুই বন্ধু এক দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করেছে। তবে জখম মঙ্গল সর্দার জানিয়েছেন, ওই ছবির সঙ্গে দুষ্কৃতীর মিল নেই। অন্য দিকে, দমদমের শ্যামনগরে গোরা দাসকে খুনের ঘটনায় রবিবার মনোজ মহাপাত্র এবং গদাই দাস নামে দুই দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়েছে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.