মরাঘাট জঙ্গলকে ঘিরে পর্যটন শিল্প বিকাশে ‘জিপ সাফারি’ চালু করার দাবি তুললেন ডুয়ার্সের গয়েরকাটার বাসিন্দারা। এটা হলে জলদাপাড়া, গরুমারা চিলাপাতার মত এখানেও ভিড় বাড়বে। স্থানীয় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। একই দাবি জানিয়ে সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির তরফে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এক দিকে গয়েরকাটা চা বাগান। অন্য দিকে সবুজ মরাঘাট জঙ্গল। মধ্যে তিরতির করে বয়ে চলেছে মধুবনী নদী। এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক ওই জঙ্গলে বেড়াতে যান। কিন্তু সেখানে জিপ সাফারি সহ অন্য সুযোগ সুবিধা না থাকায় কেউ রাত কাটাতে চায় না। অথচ ওই এলাকায় রয়েছে রাভাদের গ্রাম খুকলুং বস্তি। সেখানকার বাসিন্দা গনৎ রাভার নাচের দল বিদেশেও অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছে। পর্যটকরা সহজে সেই দলের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পেতে পারেন। এ ছাড়াও কাছে গোঁসাইহাট ঝিলে প্রতি বছর শীতে পরিযায়ী পাখি ভিড় করে। পরিবেশপ্রেমী সংগঠন আরণ্যকের কর্তা কানাইলাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দীর্ঘদিন পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য পরিকাঠামো গড়ার দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ওই কারণে প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও তা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।” জলপাইগুড়ি বন বিভাগের ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “মরাঘাটে জিপ সাফারির প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু আর্থিক কারণে সেটা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। কেমন করে ওই জঙ্গলকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা যায় তাও দেখা হচ্ছে।” ব্যবসায়ীরা জানান, গয়েরকাটা এক সময় কাঠ ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল। এখন কিছুই নেই। মরাঘাট জঙ্গলকে ঘিরে অনেক কিছু হতে পারে। এখানে থেকে পর্যটকরা খুট্টিমারি, সোনাখালি, তোতাপাড়ায় বেড়ানোর সুযোগ পাবেন। পর্যটক আনাগোনা বাড়লে গয়েরকাটাও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে। বনবস্তির বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির আহ্বায়ক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মরাঘাটকে ঘিরে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সরকার নিশ্চয়ই আমাদের আবেদন বিবেচনা করবেন।”
|
পস্কোকে আরও জমি দেবে ওড়িশা
সংবাদসংস্থা • ভুবনেশ্বর |
জগৎসিংপুরে পস্কোর প্রস্তাবিত ইস্পাত প্রকল্পের জন্য আরও ১,৫৫৪ একর জমি সংস্থার হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত ওড়িশা সরকার। রবিবার জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার আগেই দক্ষিণ কোরীয় সংস্থাটিকে ৫৪৬ একর দিয়েছে। পস্কো প্রকল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি এক রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে রাজ্য। আগামী চার মাসে প্রথম দফার বাকি ৬০০ একর জমিও অধিগ্রহণ করা সম্ভব হবে বলে রিপোর্টে প্রকাশ। পস্কোর প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে বছরে ৮ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কারখানা তৈরি করতে তাদের প্রয়োজন ২,৭০০ একর জমি। দ্বিতীয় পর্যায়ে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ১২ মেট্রিক টন করতে আরও ১,৩০৪ একর (দুই পর্যায় মিলিয়ে মোট ৪,০০৪ একর) জমি দরকার। সব মিলিয়ে মোট লগ্নি ৫২,০০০ কোটি টাকা। এ জন্য ঢিনকিয়া, গোবিন্দপুর, পোলাঙ্গ, নুয়াগাঁও ইত্যাদি গ্রাম থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের জমি অধিগ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। পাঁচ দিন টানা অনশন চালানোর পর এ দিনই তা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পস্কো প্রতিরোধ সংগ্রাম সমিতির নেতা অভয় সাহু। সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বিরেধিতার জেরে গত চার দিনই জমি নেওয়া বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। |