|
|
|
|
ডাকঘর |
|
হারানো সুভাষদ্বীপ |
জঙ্গিপুরের প্রাণকেন্দ্র সদরঘাটের অদূরে গঙ্গার বুকে একখণ্ড চরের নাম ‘সুভাষদ্বীপ’। এই নামকরণ হয় প্রায় দু’দশক আগে। জঙ্গিপুর পুরসভার উদ্যোগে সেটিকে আকর্ষণীয় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হয়। দ্বীপের একদিকে লাগানো হয়েছিল নারকেল গাছ। গড়ে তোলা হয়েছিল শিশুউদ্যান, ছিল টয়ট্রেন, দোলনা, পাখিরালয়, স্নেক-পার্ক। প্রতি সকাল-বিকাল সেখান ব্যাপক ভিড় হয়। শীতকালে পিকনিক স্পট হিসাবেও নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বীরভূম, এমনকি কলকাতা থেকেও অনেকে পরিবার নিয়ে হাজির হন। কিন্তু পুরসভার আর্থিক অক্ষমতায় সুভাষদ্বীপ জৌলুস হারিয়েছে। পর্যটন মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আপনার দফতরই পারে সুভাষদ্বীপের জৌলুস ফেরাতে এবং আরও আকর্ষণীয় করতে। কলকাতা থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে থাকা আমাদের মতো মানুষদের কথা ভেবে ওই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দ্বীপটিকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলুন না মন্ত্রীমশায়!
কাশীনাথ ভকত, জঙ্গিপুর
|
বিদ্যুৎ চুরি চলছেই |
কান্দি মহকুমার সর্বত্র অবাধে বিদ্যুৎ চুরি চলছে। কান্দি, বড়ঞা, ভরতপুর ও খড়গ্রাম মিলে চারটি ব্লকের কয়েকশো গ্রামে হুকিং একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সন্ধ্যা নামলেই বিদ্যুতের তারে তেল, জর্দা ও মাজনের কৌটো দিয়ে হুক লাগানো শুরু হয়। সূর্য ওঠার আগেই শুরু হয় হুক খোলা। কোথাও হুকিং করে চলছে হিটার, পাখা ও টিভি। এখন কান্দি মহকুমার প্রায় প্রতিটি গ্রামে হুকিং করা বিদ্যুৎ দিয়ে চলছে ধান ঝাড়াই মেসিন। সম্পন্ন চাষিরাও ওই সুযোগ নিচ্ছে। অনেক পরিবারে বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও মাসুল কমানোর জন্য চলছে হুকিং। তার উপরে রয়েছে মিটারে কারচুপি পাম্প, রেফ্রিজারেটর, ও ফ্যান চালানো হয় ওই বিদ্যুতে। ওই চোরদের তলিকায় শিক্ষক, ব্যবসায়ী, বড়চাষি, সরকারি কর্মী আছেন। কখনও ধরা পড়লে বাঁ হাতের খেলায় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের থেকে রেহাই মেলে। তারপরও কোন যুক্তিতে বিদ্যুতের মাসুল বাড়বে ও তার বোঝা বইতে হবে বিদ্যুতের বৈধ গ্রাহকদের?
সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি |
|
|
|
|
|