|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
বাসা বদল |
আমাদের বাড়ির পিছনে একটা বাজ-পড়া দেবদারু গাছ আছে। দেখি, একটা নীলকণ্ঠ পাখি রোজ এসে তার ঠোঁট দিয়ে গাছটার গায়ে একটা গর্ত তৈরি করল। তার পর সে সেখানে থাকতে লাগল। তার পর এক দিন দেখি একটা হলুদ রঙের লালঝুঁটি কাঠঠোকরা পাখি গর্তটাকে আরও বড় করতে লাগল আর বড় হয়ে যাওয়ার পর সে সেখানেই থাকতে লাগল। আরও কিছু দিন পর দেখি কাঠঠোকরা পাখিটার বদলে অন্য অচেনা সবুজ আর ছাই রঙের তিনটে পাখি এসে সেই গর্তে থাকতে লাগল। অনেক দিন পর দেখি সেখানে একটা বাচ্চা পাখিও থাকে। মানে, পাখিটার পুরো পরিবারই সেখানে থাকতে লাগল। অন্যের তৈরি ঘরে ওরা এখন বেশ ভালই থাকে।
সাহিফা মল্লিক। চতুর্থ শ্রেণি, আলমপুর গুরু নানক পাবলিক স্কুল, হাওড়া |
|
|
ব্যাঙাচির ব্যাঙ হওয়া |
স্কুলের জলাশয় থেকে বোতলে করে কয়েকটা ব্যাঙাচি ধরে এনে বাড়ির ছাদে বড় জালার মধ্যে বালি, মাটি, পাথর ও জল দিয়ে রাখলাম। রোজ ব্যাঙাচির খাবার ছোট ছোট জীবন্ত পোকামাকড় ও ছোট ছোট গাছপালা দিলাম জালার মধ্যে। বেশ কিছু দিন পরে দেখলাম পিছনে লেজ ও ধড়ের সংযোগ স্থলে দু’টি পা বেরিয়েছে এবং আস্তে আস্তে বড় হল। কিছু দিন পরে দু’টি সামনের ছোট পা হল। এক দিন দেখলাম ব্যাঙাচিগুলো লাফ দিয়ে জালা থেকে বেরিয়ে ছাদে ঘুরে ঘুরে ছোট ছোট পোকামাকড় খাচ্ছে। আরও কিছু দিন পরে দেখলাম ব্যাঙাচির লেজ নেই, ব্যাঙ হয়ে ছাদের মধ্যে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে।
অর্ণব চোংদার। চতুর্থ শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন সেন্টেনারি প্রাইমারি স্কুল |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|