|
|
|
|
মেচেদা |
ধৃত ৩৯ বাংলাদেশি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
শিশু, মহিলা-সহ মোট ৩৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হল মেচেদা স্টেশন থেকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর ট্রেন ধরতে জড়ো হয়ছিল দলটি। সন্দেহ হওয়ায় রেল পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পরে সকলকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে ১০ জন শিশু এবং ১২ জন মহিলা।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ হামেশাই ঘটে। দালালদের হাতে টাকা গুঁজে পারাপার চলে। দালালরা কাজের টোপ দিয়েও অনেককে নিয়ে আসে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ সূত্রে খবর, চোরাপথে এ দেশে স্বল্পমেয়াদী কাজের জন্য কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আসার প্রবণতা গত কয়েক বছরে কমেছিল। কিন্তু মাস ছয়েক হল ফের বেড়েছে ‘ধুড় পাচার’ (টাকার বিনিময়ে অনুপ্রবেশ)।
মেচেদায় ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলায়। জেরায় তাঁরা জানিয়েছেন, দালালের মাধ্যমে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। অনেকে যাচ্ছিলেন সপরিবার। রাতের অন্ধকারে বনগাঁ সীমান্তে তাঁরা ইছামতী পেরোন। তারপর হাওড়া হয়ে আসেন মেচেদায়। সেখান থেকেই যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস ধরার কথা ছিল। পুলিশ অবশ্য দালালদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
শনিবার ধৃতদের তমলুক আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক ৩৯ জনকেই ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন। দলে ৬০ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে আছে দু’-তিন বছরের শিশুও।
এদের কয়েকজনের আগেও বেআইনি ভাবে এ দেশে আসার অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেমন পিরোজপুর জেলার কলারোনের আবুল বাশার। তিনি বলেন, “কয়েকমাস আগে দালালদের মারফত বেঙ্গালুরু গিয়ে কাগজ কুড়োনোর কাজ করেছি। এক আত্মীয় মারা যাওয়ায় বাড়ি ফিরেছিলাম। এ বার স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে ফের যাচ্ছিলাম।” |
|
|
|
|
|