বড়সড় তুষারঝড়ে কাঁপল উত্তর পূর্ব আমেরিকার একাংশ। এই ঝড়ের প্রকোপে প্রায় ফুট তিনেক পুরু হয়ে বরফ জমেছে রাস্তাঘাটে। যার জেরে শুক্রবার রাস্তার ট্রাফিক থেকে বিমানের ওড়া পর্যন্ত প্রায় সবই থমকে গিয়েছে। বহু পথ দুর্ঘটনায় এ দিন দুই ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে নিউ ইয়র্ক শহরে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, এই তুষারঝড়টির নাম নিমো। এই ঝড়টি আসার ইঙ্গিত আগেই দেওয়া হয়েছিল। বস্টনে দুই থেকে তিন ফুট, নিউ ইয়র্কে প্রায় ফুটখানেক বরফ জমার সতর্কবার্তা জারি করা হয়। এমনকী, কানেক্টিকাট ও মেইনেও এই সতর্কবার্তা জারি হয়েছিল।
এ দিন বিকেলে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছিল। উত্তর পূর্ব আমেরিকার শহরগুলিতে গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে ওঠে। হাইওয়েগুলি বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলেই লোডশেডিং। পুলিশ জানায় নিমোর জেরে বহু পথ দুর্ঘটনা হয়েছে উত্তর পূর্বের এই শহর গুলিতে।
পুলিশ জানায়, তুষার ঝড়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান বছর আঠারোর এক তরুণী। তাঁর গাড়ির ধাক্কায় মারা যান ৭৪ বছরের বৃদ্ধ। গাছে সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় মারা যান আরও এক জন।
নিউ ইয়র্কের ট্রানজিট অফিসার জানান, শুধু রাস্তা-ঘাট নয়, রেল ও মেট্রো পথও বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ম্যাসাচুসেটস, রোডস আইল্যান্ড ও কানেক্টিকাট, মেইন ও নিউ ইয়র্কের প্রশাসন জরুরি অবস্থা জারি করে। নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দর সূত্রের খবর, তুষার ঝড়ের জেরে ৩৭৭৫টি উড়ান বাতিল হয়। বস্টনের লোগান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরেও একাধিক উড়ানের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়।
মাস তিনেক আগেই স্যান্ডি দেছে আমেরিকা। তার আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই হাজির নিমো। ম্যাসাচুসেটস-এর সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সরকার তরফের একটি ঘোষণায় শনিবার সকালের মধ্যে সমুদ্র উপকূল খালি করে দেওয়ার কথা বলা হয়। নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার কথা বলা হয় এলাকাবাসীদের।
|
ডুবে মৃত্যু
সংবাদসংস্থা • ঢাকা |
মেঘনা নদী পারাপারের সময় যাত্রিবাহী নৌকো ডুবে মৃত্যু হল ১৪ জনের। নিখোঁজ আরও ৫ জন। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটে মানিকগঞ্জ এলাকায়। সারারাতের চেষ্টায় উদ্ধার হয় ১২টি মৃতদেহ। |