পরিবারের সদস্যদের বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দিয়ে নগদ টাকা ও অলঙ্কার-সহ প্রায় চার লক্ষ টাকার সামগ্রী ডাকাতি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার ভোর ৪ টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিবাটি এলাকায়। এই ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন সকাল ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা রায়গঞ্জের অশোকপল্লির ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, “লুঠের ঘটনায় স্থানীয় দুষ্কৃতীর পাশাপাশি বিহারের দুষ্কৃতীরা জড়িত থাকতে পারে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।” তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কাশিবাটি এলাকায় অস্থায়ী পুলিশক্যাম্প বসানো হয়েছে। গত শনিবার কাশিবাটি এলাকায় একাধিক খুনের মামলায় অভিযুক্ত যুবককে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। তার এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানেই ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটায় এদিন বাসিন্দারা পুলিশের নামে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অবরোধে সামিল হন। পুলিশ জানায়, এদিন ৫ জনের এক দল মুখে কাপড় বেঁধে কাশিবাটি এলাকার বাসিন্দা পেশায় দর্জি পরিমল দেবনাথ ও তাঁর ভাই পেশায় গৃহশিক্ষক চিত্তরঞ্জনবাবুর বাড়িতে ডাকাতি করে। এ দিন দুষ্কৃতীরা প্রথমে ওই বাড়ির বারান্দার গ্রিলের তালা ভাঙার পরে একটি কাঠের দরজা ভেঙে পরিমলবাবুর ঘরে ঢুকে। সেই সময় দুষ্কৃতীরা পুলিশের লোক বলে তল্লাশিতে এসেছে বলে জানায়। হইচই শুনে চিত্তরঞ্জনবাবু নিজের ঘর থেকে বার হয়ে আসেন। দুষ্কৃতীরা পরে পরিমলবাবু ও চিত্তরঞ্জনবাবুর হাত পিছ মোড়া করে বাঁধে। তাঁদের মা গায়ত্রীদেবীকে কাপড় দিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। দুষ্কৃতীরা এর পরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে দুটি ঘরের আলমারি খুলে নগদ, অলঙ্কার ও মোবাইল ডাকাতি করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা ওই বাড়ির প্রধান দরজাটি বাইরে থেকে আটকে দেয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে দুষ্কৃতীরা তান্ডব চালায়। দুষ্কৃতীরা যাওয়ার পর পরিমলবাবু ও চিত্তরঞ্জনবাবুর পরিবারের লোকের চিৎকারে বাসিন্দারা ছুটে এসে দরজা খুলে পুলিশকে খবর দেন। |