একদিকে সিপিএমের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ। অন্য দিকে সিপিএমের পুলিশের নামে পযর্টন মন্ত্রীর হয়ে ভোটদাতাদের ভয় দেখানো এবং এক দলীয় নেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইংরেজবাজার বিধানসভা এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়।
তৃণমূলের পোস্টার ও ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার তদন্ত করতে চার্চ পল্লিতে গেলে সিপিএমের পাঁচ শতাধিক কর্মী সমর্থক পুলিশকে প্রায় দেড় ঘন্টা আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ লাইন থেকে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের হাত থেকে পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে। কাজে বাধা দেওয়া এবং আটকে রাখার অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় সিপিএমের একাধিক নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালী সিপিএম নেতা তথা মালদহের স্থানীয় নিউজ চ্যানেলের সম্পাদক রামপ্রসাদ ঘোষের স্ত্রী লিপিকা ঘোষ পুলিশের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় পাল্টা শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন।
ইংরেজবাজার থানার আইসি দিলীপ কর্মকার বলেন, “অভিযুক্তরা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশ বুড়াবুড়িতলা গেলে অভিযুক্ত সিপিএম সমর্থকরা পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে আটক পুলিশ অফিসারদের উদ্ধার করা হয়।” এদিকে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা তথা স্থানীয় একটি নিউজ চ্যানেলের সম্পাদক রামপ্রসাদ ঘোষ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “আমার অনুপস্থিতিতে ইংরেজবাজার থানার এক পুলিশ অফিসার মদ্যপ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সোয়া সাতটা নাগাদ আমার বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে অশ্লীল কথা বলেন। হুমকি দেন আপনার স্বামী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর বিরুদ্ধে লাগাতার খবর প্রচার করছে। সবাইকে জেলে ঢোকানো হবে।” তিনি জানান, ওই কথা শুনে তাঁর স্ত্রী ভয়ে চিৎকার করেন। আশেপাশের বাসিন্দা ছুটে এসে পুলিশ অফিসার কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। রামপ্রসাদবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী তাঁর নিউজ চ্যানেল বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। পুলিশকে দিয়ে ভোটদাতাদের ভয় দেখাচ্ছেন। মিথ্যা অভিযোগে হেনস্থা করার চক্রান্ত করছেন। পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী অবশ্য সিপিএম নেতার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সিপিএম কর্মীরা বুড়াবুড়িতলা এলাকায় আমার বিধানসভা উপনিবার্চনের পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে। কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। এক কর্মী পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ জানায়।” |