অনিন্দ্যের ইস্তফা, নতুন এজি বিমল
ল্পনা চলছিল অনেক দিন ধরেই। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-এর পদে ইস্তফা দিলেন অনিন্দ্য মিত্র। নতুন এজি হচ্ছেন প্রবীণ আইনজীবী বিমল চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার অনিন্দ্যবাবুর পদত্যাগপত্র মহাকরণে পৌঁছয়। তার পরেই বিমলবাবুকে রাজ্যের পরবর্তী এজি হিসেবে মনোনীত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে মহাকরণে বিমলবাবুকে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দীর্ঘদিন তৃণমূলের আইনজীবী সেলের চেয়ারম্যান ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, “বিমলদা আপনি দায়িত্ব নিন।” বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনাও হয়। পরে আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “অনিন্দ্য মিত্র পদত্যাগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় ওই দায়িত্ব নিচ্ছেন বিমল চট্টোপাধ্যায়।”
রাজ্যের নতুন সরকারের বয়স এখনও দু’বছর হয়নি। এরই মধ্যে কেন পদত্যাগ করলেন অনিন্দ্যবাবু?

বিমল চট্টোপাধ্যায়

অনিন্দ্য মিত্র
এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অনিন্দ্যবাবু রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে অবিলম্বে অব্যাহতি চেয়েছেন। আজই আমরা ওই চিঠির প্রতিলিপি পেয়েছি। চিঠিতে তিনি কোনও কারণ দেখাননি।” বর্তমান পরিস্থিতিতে এজি-র আচমকা এই পদত্যাগ কি রাজ্যের কাছে অস্বস্তিকর নয়? জবাবে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “তা কেন? বাম আমলেও তো নানা কারণে একাধিক এজি পদত্যাগ করেছেন।”
আইনজীবী মহল সূত্রে অবশ্য খবর, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার নথি চেয়েও ঠিক মতো পাচ্ছিলেন না অনিন্দ্যবাবু। এই কারণে ঘনিষ্ঠ মহলে বিভিন্ন সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। আইনমন্ত্রী অবশ্য এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অ্যাডভোকেট জেনারেল সরকারের কাছে কোনও বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেননি। বরং তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে ভাবে কাজ করেছেন, তাতে রাজ্য তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। আইনমন্ত্রীর মতে, অনিন্দ্যবাবু এখন আর কাজ করতে ইচ্ছুক নন। তাই পদত্যাগ করেছেন।
এতে কি রাজ্যের ক্ষতি হল না? চন্দ্রিমাদেবীর জবাব, “ক্ষতির কোনও ব্যাপার নেই। যিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন, এখন থেকে তিনি লড়বেন। আমাদের আশা, তিনিও ভাল কাজ করবেন।”
গত বছর থেকে অনিন্দ্যবাবু অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশেও যান। প্রশাসন সূত্রের খবর, তখনই তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে কিছু দিন অপেক্ষা করতে বলে রাজ্য। এ দিন বিমলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এখনও নিয়োগপত্র হাতে পাইনি।”
অনিন্দ্যবাবু ও বিমলবাবু প্রায় সমসাময়িক। দু’জনেই প্রেসিডেন্সির কৃতী ছাত্র ছিলেন। ব্যারিস্টারি করেছেন বিদেশে। বিমলবাবু বলেন, “আমাদের দু’জনের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। তাই মনে হয়, যে কোনও সময়েই আমি অনিন্দ্যবাবুর পরামর্শ পাব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.