|
|
|
|
অপারেশন সূর্যোদয় |
তদন্ত নিয়ে সিআইডি ভর্ৎসিত সুপ্রিম কোর্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কলকাতা |
নন্দীগ্রামের একটি মামলায় সর্বোচ্চ আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ‘অপারেশন সূর্যোদয়’ মামলায় তদন্তে গাফিলতির জন্য শুক্রবার সিআইডি-কে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাদের পর্যবেক্ষণ, সিআইডি বিশেষ মনোভাব নিয়েই তদন্ত চালিয়েছে। এই মামলার পাঁচ অভিযুক্তের জামিনও মঞ্জুর করেছে বিচারপতি জিএস সিঙ্ঘভি এবং বিচারপতি দীপক মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ।
এ দিন যে-পাঁচ সিপিএম কর্মী জামিন পেয়েছেন, তাঁরা হলেন গুরুপদ দাস, নাড়ুগোপাল দাস, শক্তিপদ দলপতি, কানাইলাল ভুঁইয়া ও মতিউর রহমান। সাক্ষীদের বয়ানে এঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না। যদিও এঁরা এক বছর তিন মাস জেল খেটেছেন। নবকুমার সামন্ত ও সত্যরঞ্জন মাকুড়ের জামিন হয়নি। কারণ, অপারেশন সূর্যোদয়ে এঁদের প্রত্যক্ষ যুক্ত থাকার (২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম থানার ২৮২ নম্বর মামলা) ব্যাপারে সিআইডি যে-নথি পেশ করেছে, বিচারপতিরা তাতে সন্তুষ্ট।
এই মামলার আইনজীবীরা জানান, ২০০৭ সালের ৫ থেকে ১১ নভেম্বর সিপিএমের ক্যাডারেরা নন্দীগ্রামের দখল নিয়েছিল। দলের নেতারা সেই ঘটনাকে নন্দীগ্রামে সূর্যোদয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। আট জন গ্রামবাসী নিখোঁজ হন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের তৎকালীন সরকারের নির্দেশে সিআইডি প্রথমে এফআইআর করে ২২ জনের বিরুদ্ধে। পরিবর্তনের পরে নতুন করে নিখোঁজ মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই আরও ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তাঁদের মধ্যে সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ, অশোক গুড়িয়া, অমিয় সাহুরাও ছিলেন। একই মামলায় একই সাক্ষীদের দু’বার বয়ান নিয়ে এবং নতুন সাক্ষী এনে ফের চার্জ গঠন হয়। সিআইডি-র এই ভূমিকায় সর্বোচ্চ আদালত ক্ষুব্ধ। তাদের প্রশ্ন, একই মামলায় একই তদন্তকারী সংস্থা একই সাক্ষীদের দু’বার দু’ধরনের বয়ান নথিভুক্ত করে কী ভাবে? এতেই বোঝা যাচ্ছে, বিশেষ মনোভাব নিয়েই তদন্ত করা হয়েছে। পরে যাঁদের নাম মামলায় ঢোকানো হয়েছিল, সিআইডি তাঁদের জামিন বাতিলের দাবি তুললেও আদালত তা মানেনি। |
|
|
|
|
|