|
|
|
|
বন্ধুকে খুনের চেষ্টা, দু’জন পুলিশ হাজতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বন্ধুকে নৃশংস ভাবে খুনের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত গোপাল মুর্মু ও হিমাংশু ধলের বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরে। মাস খানেক তাঁরা ফেরার ছিলেন। পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহরের গোপন ডেরা থেকে তাঁদের ধরা হয়। ধৃতদের শুক্রবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থে দুই অভিযুক্তকে ছ’দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মোটর সাইকেলে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পেশায় কলমিস্ত্রি স্বপন ঘোষ। পুরনো এলআইসি মোড় লাগোয়া গলিতে কয়েকজন যুবকের হাতে আক্রান্ত হন ওই যুবক। অভিযোগ, ব্যক্তিগত আক্রোশে স্বপনবাবুর কয়েকজন বন্ধুই হামলা চালান। রাস্তায় ফেলে তাঁকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। আঘাত করা হয় মোটর সাইকেল দিয়েও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বপনবাবুকে প্রথমে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বপনবাবুর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে পুলিশ। শর্মিষ্ঠাদেবী পাঁচ জনকে চিনতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পাঁচ জনই ফেরার হয়ে যায়। অভিযুক্তেরা রাজ্যের এক মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। তাই তাঁদের গ্রেফতারে পুলিশকে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছিল। ওই আপ্ত সহায়ক দশরথ হেমব্রম অবশ্য শুক্রবার বলেন, “ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই ওঠে না।”
অন্য তিন ‘ফেরার’ অভিযুক্ত শিব মুর্মু, ডাক্তার সরেন ও বিপ্লব মুর্মুর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে মেদিনীপুরের জেলা দায়রা আদালত। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মঞ্জুর হওয়া তিন অভিযুক্তের আগাম জামিননামা বাতিল করার আর্জি জানিয়েছে পুলিশ।
মাস খানেক কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর স্বপনবাবুকে ঝাড়গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন তাঁর পরিজনেরা। এখনও স্বপনবাবুর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তিনি এখন কথা বলতে পারছেন না।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে দেখা হচ্ছে, ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আর কারা জড়িত রয়েছে। এবং ঘটনার পর কারা অভিযুক্তদের আশ্রয় দিয়েছিল। |
|
|
|
|
|