|
|
|
|
তৃণমূলের জুলুমে তালা হিমঘরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে না জানিয়ে এক কর্মীকে নিয়োগ করায় হিমঘরে তালা ঝুলিয়ে দিল শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুরের বৈকুন্ঠপুরে। স্থানীয় কে পি হিমঘরের আজ শনিবার থেকে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ারও ফতোয়া দিয়েছে তৃণমূল। যতদিন না মালিকপক্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছে, ততদিন এই ফতোয়া জারি থাকবে।
ঘটনার কথা মানছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তাঁদের মতে এটা আন্দোলন। দাসপুর-১ ব্লকের বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তথা তৃণমূল নেতা কাজল সামন্ত বলেন, “হিমঘর কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। চাষিদের আলু না রেখে নিজেরাই (মালিক পক্ষ) আলু মজুত রাখছেন। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্থানীয় লোকের বদলে বাইরের লোক নিয়েছেন। তাই আমাদের এই আন্দোলন।” কাজল বাবুর হুঁশিয়ারি, “যতদিন না পর্যন্ত মালিকপক্ষ আমাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসছে, ততদিন হিমঘর বন্ধ থাকবে।” হিমঘরের মালিকদের তরফে অরুণ কর্মকার, শক্তি পোড়েরা অবশ্য বলেন, “১৯৮৯ সাল থেকে এই হিমঘর চলছে। আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই আলু মজুত রাখি। কোনও চাষিকে বঞ্চিত করা হয়নি।” |
|
বন্ধ হিমঘর। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন দুপুরে কাজলবাবু ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজিত সামন্তের নেতৃত্বে শতাধিক তৃণমূল সমর্থক হিমঘরের প্রধান গেটে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেয়। পরে ভিতরে ঢুকে কর্মীদের বেরিয়ে যেতে বলে। কর্মীরা নির্দেশ অমান্য করেনি। ঘণ্টাখানেক তৃণমূলের জুলুমবাজি চলে। পরে তৃণমূল সমর্থকেরা গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ওই হিমঘরে সম্প্রতি তিন জন টেকনিক্যাল কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তাকে কেন্দ্র করেই অশান্তির সূত্রপাত। ওই হিমঘরে ৩ লক্ষ ৪১ হাজার আলুর বস্তা মজুত রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। স্থায়ী কর্মী ১৪ জন এবং অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন ৬ জন। আলুর মরসুমে অবশ্য শ’তিনেক বিভিন্ন স্তরের কর্মী কাজ করেন। আগামী মার্চ মাস থেকে হিমঘরে আলু ঢুকতে শুরু করবে। তার আগে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন কাজ থাকে। এখন সে সবই করা হচ্ছিল। তারই মধ্যে তৃণমূলের জুলুমবাজিতে হিমঘর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মালিকপক্ষ। অরুণবাবু বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনায় বসব না। আমরা চারজন মালিক রয়েছি। শনিবার নিজেরা আলোচনার পর প্রশাসনকে সব জানাব। প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।” |
|
|
|
|
|