|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
ভোগান্তি |
দখলের গ্রাস |
দেবাশিস দাস |
তারাতলা থেকে ঠাকুরপুকুর পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার রোডের দু’ধার কার্যত হকারদের দখলে। অথচ দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দা এবং পথচারীদের।
কলকাতা পুরসভার ১৩ ও ১৪ নম্বর বরোর অশোকা সিনেমা সংলগ্ন এলাকা, ম্যান্টন, চৌরাস্তা, শীলপাড়া, পর্ণশ্রী, ঠাকুরপুকুর অঞ্চলের ফুটপাথগুলিতে পথচারীদের হাঁটার জায়গা সঙ্কীর্ণ। ফুটপাথে দু’দিকে দোকান। মাঝখানে পথচারীদের যাতায়াতের জন্য একচিলতে জায়গা। সেখানেও অধিকাংশ সময়ে দাঁড়িয়ে চলে কেনাকাটা।
অনেক সময়ে ধাক্কাধাক্কি নিয়ে দোকানদারদের সঙ্গে পথচারীদের বচসাও বাধে। |
|
স্থানীয় বাসিন্দা রতন আইচ বললেন, “ফুটপাথ কার? পথচারী না হকারদের? বেহালায় তা বোঝার উপায় নেই। বহু বার বিভিন্ন জায়গায় বাসিন্দারা আবেদন করেছেন। পুর প্রতিনিধিদেরও বার বার জানানো হয়েছে। লাভ হয়নি কিছুই।”
পথচারীদের অভিযোগ, দিনের পর দিন বেহালা এলাকায় ফুটপাথে দখলদারি বেড়েই চলেছে। যেখানে সেখানে গুমটি বসছে। নিয়ন্ত্রণেরও কোনও চেষ্টা নেই। কোনও কোনও এলাকায় আবার দিনের পর দিন ফুটপাথেই ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ এলাকাগুলির বাসিন্দাদের।
১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুশান্ত ঘোষ বলেন, “পুরো বিষয়টাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা নতুন করে কাউকে ফুটপাথে বসতে দিচ্ছি না। তবে যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে বসেন তাঁদের তুলে দিতে পারি না।” |
|
১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের মানিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “হকারদের পুনর্বাসনের জন্য বেহালা ম্যান্টনে সুপারমার্কেট করা হয়েছিল। কিন্তু হকারেরা যেতে রাজি হননি। তবে বেহালা এলাকায় গত এক বছরে দখলদারি-সমস্যা অনেকটাই কমেছে।”
সিটু-নিয়ন্ত্রিত কলকাতা স্ট্রিট হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বরুণ ঘটক বলেন, “গত পঁচিশ বছরে বেহালায় হকারদের পুনর্বাসনের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। বাম আমলে হকার নিয়ন্ত্রণ করা হত। এখন হচ্ছে কি না বলতে পারব না।”
মেয়র পারিষদ (সড়ক) সুশান্ত ঘোষ বলেন, “সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের। আমি সবে দায়িত্ব পেয়েছি। রাস্তাগুলো পরিদর্শন করব। তার পরে বিকল্প ব্যবস্থার কথা আলোচনা করব।” |
ছবি: অরুণ লোধ |
|
|
|
|
|