|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
যোধপুর পার্ক |
ঝিলে জঙ্গল |
কৌশিক ঘোষ |
জলের রং কালো। ভাসছে প্লাস্টিকের বোতল-সহ হরেক আবর্জনা। একপাশ ভর্তি কচুরিপানায়। জলে চলছে বাসন মাজা থেকে স্নান, সবই।
এলাকার সৌন্দর্যায়নের জন্য তৈরি যোধপুর পার্ক ঝিলের হাল এখন এমনই। উদ্যানেও যথেষ্ট আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে (কেইআইপি) ঝিল ও সংলগ্ন উদ্যানটির সৌন্দর্যায়নের পরে কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়।কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “ঝিল পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে সমস্যা রয়েছে। এই ঝিলের পাশে বসবাসকারী কিছু পরিবার ও এলাকার বাইরের লোকেরা জলাশয় অপরিষ্কার করছেন। আধিকারিকদের বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছি। ওই পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন না দিলে সমস্যা মিটবে না।” |
 |
পুরসভার ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, “ঝিলটি পুরসভাকে হস্তান্তরিত করা হলেও উদ্যানটি দেখাশোনা করার জন্য যোধপুর পার্ক রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গেও আলোচনা করব।”ওই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিলীপ মৈত্র বলেন, “উদ্যানটি দেখাশোনার জন্য আমরা নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করেছি। তাঁরা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় এখানে থাকেন। রাতে পার্কের মূল গেট বন্ধ রাখা হয়।” এই সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য মানস সেনগুপ্ত জানান, ঝিলের পাশে এবং উদ্যানের একাংশে যাঁদের বসতি রয়েছে তাঁরা এবং বাইরেরও অনেকে এই ঝিলের জল ব্যবহার করেন। তাঁদের স্থানান্তরিত না করলে সমস্যা থাকবেই। অ্যসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পুরসভা এবং কাউন্সিলরকে এই ব্যাপারে অনেক বারই জানানো হয়েছে। |
|
কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের এক আধিকারিক জানান, ২০০৫-’০৬ আর্থিক বছরে কেইআইপি শহরের দশটি বড় জলাশয় সংস্কারের প্রকল্প গ্রহণ করে। তার মধ্যে যোধপুর পার্কের ঝিলটি ছিল অন্যতম। এই প্রকল্পের মধ্যে ছিল জলাশয় সংস্কার ও জলাশয়ের পাড় বাঁধানো। জলাশয়ের পাশে ফাঁকা জমিতে বসার জায়গা নির্মাণ, নির্দিষ্ট জায়গাটি রেলিং দিয়ে ঘিরে রাখা এবং উদ্যান নির্মাণ এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। জমিটি যোধপুর পার্ক কোঅপারেটিভের ছিল। এর উন্নয়নের জন্য কলকাতা পুরসভাকে হস্তান্তর করা হয়। |
|
ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রতন দে বলেন, “এই উদ্যানের একাংশের জমিতে পুরসভার কয়েক জন সাফাইকর্মীকে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। পরে, অনেকেই এখানে বসবাস করতে শুরু করেন। পরে তাঁদের সরানো সম্ভব হয়নি। তাঁরাই ঝিলের জল ব্যবহার করেন। আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও এই ঝিলে স্নান করেন। এই উদ্যানের উন্নয়নের জন্য প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা খরচ করে যখন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল, তখন পুরসভাকে এঁদের পুনর্বাসনের জন্য আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।”
বর্তমান কাউন্সিলর তৃণমূলের মালা মহলানবিশ বলেন, “রাজ্য সরকারকেই পুনর্বাসনে হস্তক্ষেপ করতে হবে। পুর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।” |
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
 |
|
|