আরামবাগের মুথাডাঙা সারদামণি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যামন্দিরে সর্বশিক্ষা মিশনের তহবিল যথাযথ সদ্ব্যবহার না করে কারচুপির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিল মহকুমা প্রশাসন।
গত বছর কয়েক দফায় ওই স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক শেখ আতিয়ার রহমান এবং গ্রাম শিক্ষা কমিটির সভাপতি মহাদেব ঘোষের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ মহকুমা প্রশাসনকে জানান ওই এলাকারই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সিপিএমের সুশান্ত দে। মহাদেববাবু মা।াপুর-১ পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য। দু’জনেই অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দিন কয়েক আগে অভিযোগের ভিত্তিতে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির ইঞ্জিনিয়ারকে তদন্তের নির্দেশ দেয় মহকুমা প্রশাসন। ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক বিমলাপ্রসাদ সিংহবাবু বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হবে।”
দায়ের করা অভিযোগে সুশান্তবাবু জানান, সর্বশিক্ষা মিশনের টাকায় ওই স্কুলে একটি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের অগস্টে ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৫৪ টাকা বরাদ্দ হয়। তা ছাড়াও, মিড ডে মিল রান্নার জন্য রান্নাঘরের একটি ছাউনি গড়তে ৬০ হাজার টাকা এবং ‘বালা’ নামে একটি মঞ্চের জন্য অনুমোদিত অর্থ ৮৪ হাজার ৬৫০ টাকা। কিন্তু এত দিনে শ্রেণিকক্ষ হলেও যে ভাবে সেটি গড়ার কথা তা হয়নি। তা ছাড়া, রান্নঘরের ছাউনি এবং মঞ্চের নির্মাণও যথাযথ হয়নি। কম খরচে কাজ করা হলেও খাতায়-কলমে বরাদ্দের হিসেব মিলিয়ে দেখানো হয়েছে।
শেখ আতিয়ার রহমান সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “প্রশাসন তদন্ত করছে। তারাই বলবে, অনিয়ম হয়েছে কি না।” কোনও কারচুপি হয়নি বলে দাবি করেছেন মহাদেব ঘোষও। |