রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ১০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার জন্য ডানলপকে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, শনিবারের মধ্যে ডানলপ ওই টাকা জমা না দিলে আগামীকাল, রবিবার থেকেই অফিসিয়াল লিকুইডেটর সম্পদ বিক্রির কাজ শুরু করে দেবেন।
বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত ও তরুণ দাসের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা গ্রহণ করার শর্ত হিসেবে ডানলপকে ১০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। শুক্রবারই সেই টাকা জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে। এদিনও ডানলপ টাকা জমা দেয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, শনিবার ডানলপ ১০ কোটি জমা দিলে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চের রায় কার্যকর করার উপরে স্থগিতাদেশ থাকবে। অন্যথায় স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ হয়ে যাবে।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় পাওনাদারদের ও শ্রমিকদের বাকেয়া পাওনা মেটানোর জন্য অফিসিয়াল লিকুইডেটর নিয়োগ করেন। অফিসিয়াল লিকুইডেটরের কাজ হবে যে সব সম্পদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা উদ্ধার এবং সম্পদ বিক্রি করে পাওনাদারদের বাকেয়া মেটানো। ডানলপ সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা করে। তারা সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশের আবেদন জানান। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ডিভিশন বেঞ্চ ডানলপকে ১০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এ দিন ডানলপের পক্ষ থেকে ডিভিশন বেঞ্চকে জানানো হয়, আপিল মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট যদি স্থগিতাদেশ দেয় তবেই ডানলপ ১০ কোটি জমা দেবে। ডিভিশন বেঞ্চ ডানলপের এই আবেদন খারিজ করে দেয়। তারা জানিয়ে দেয়, শনিবার ডানলপ ১০ কোটি টাকা জমা দিলে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
স্থগিতাদেশ দেবে কোর্ট। তার পর তাদের আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে।
ডানলপের পক্ষে আইনজীবী অতনু রায়চৌধুরী জানান, আপিল মামলার নিষ্পত্তি না পাওয়া পর্যন্ত যদি স্থগিতাদেশ পাওয়া যেত তা হলে ডানলপ ১০ কোটি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ পেলে তার পর যে কোনও সময় অফিসিয়াল লিকুডেটর দায়িত্ব নিয়ে নিতে পারেন। তাই ডানলপ-কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। |