|
|
|
|
শান্তি চুক্তির ইঙ্গিত দিলেন ইবোবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
দু’টি মণিপুরি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার ইঙ্গিত দিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ।
ইতিমধ্যেই মণিপুরি জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চ ‘কো-অর্ডিনেশন কমিটি’ থেকে বিতাড়িত হয়েছে ইউপিপিকে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, অর্থ সচিব ও সাংগঠনিক সচিব গ্রেফতার হওয়ার পরে ইউপিপিকে সংগঠনে অরাজকতা দেখা দিয়েছে। পুলিশ ও এনআইএ-র হাত এড়াতে সংগঠনের চেয়ারম্যান বনবিহারী, বিদেশ সচিব লৌশংবাম কৃতিবাবু-সহ বেশ কয়েকজন নেতা গা-ঢাকা দিয়েছেন। এই অবস্থায়, ৩ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের শিবির থেকে পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে সংগঠনের ৪৫ জন সশস্ত্র জঙ্গি থৌবালে প্রবেশ করে। তারা ইতিমধ্যেই আসাম রাইফেল্স-এর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিদের মধ্যে ইউপিপিকের তিন জন ও কেএলও-র এক মহিলা সদল্য রয়েছে। আছেন ৭ জন মেজর। তারা জানায়, মায়ানমারের তামুতে, মণিপুর নাগা রেভেলিউশনারি ফ্রন্ট ও অসমের কেএলও সংগঠনের সঙ্গে শিবির ভাগাভাগি করে থাকত ইউপিপিকে। আসাম রাইফেল্স-এর দাবি, সংগঠনের সদস্যরা জানায়, অনুকূল পরিবেশ পেলে দলের মাথারাও শান্তির পথে আসতে ইচ্ছুক।
মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি জানান, যদিও ইউপিপিকে নেতৃত্ব সরাসরি এখনও আত্মসমর্পণের কথা জানায়নি, তবে প্রক্রিয়া যে পথে এগোচ্ছে, তাতে শান্তি আলোচনার পথ বেশি দূরে নেই। সেই সঙ্গে তিনি জানান, থৌবালের কেওয়াইকেএল-মিলিটারি ডিফেন্স পার্টি সরাসরি তাঁর কাছে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব পাঠিয়েছে। শ’খানেক সদস্যসহ এমডিএফ অস্ত্র জমা দিতে তৈরি।
পাশাপাশি, কুকি রাজ্য দাবি কমিটি ও কুকি জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চের উদ্দেশে ইবোবি বলেন, “কুকিদের যৌথ মঞ্চের সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে। পৃথক রাজ্যের দাবি সংক্রান্ত বিষয়টি কেন্দ্রের বিবেচনাধীন।” |
|
|
|
|
|