|
|
|
|
স্কুলবাস থেকে ছিটকে তারই চাকায় পিষ্ট ছাত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পরীক্ষা চলছিল তার। পরের পরীক্ষাটি ছিল বিজ্ঞানের। চলন্ত স্কুলবাসে পায়চারি করতে করতে বিজ্ঞান বইয়ের পাতায় চোখ বোলাচ্ছিল ছাত্রটি। টালিগঞ্জ ফাঁড়ির সামনে স্কুলবাসের চালক সিগন্যাল পার হতে গিয়ে জোরে বাঁক নেওয়ার সময়ে আচমকা ব্রেক কষলেন। তাতেই টাল সামলাতে না পেরে বাসের সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে রাস্তায় পড়ে গেল ওই ছাত্র। নিজেরই স্কুলবাসের পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে গেল নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। ঘটনার সাক্ষী থাকল তার ছোট ভাই ও বন্ধুরা। |
|
সেই স্কুলবাস।—নিজস্ব চিত্র |
শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, সৌম্যকান্তি ধর (১৫) নামে ওই ছাত্র গার্ডেনরিচের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়ত। এ দিন পরীক্ষার পরে সে ও তার ভাই স্কুলবাসে বাড়ি ফিরছিল। তার ভাই ওই স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। দুর্ঘটনার সময়ে ওই বাসে আরও তিন ছাত্রছাত্রী ছিল। পুলিশকে ওই ছাত্রছাত্রীরা জানায়, সৌম্যকে বাস থেকে পড়ে যেতে দেখে তারা চিৎকার করে বাসের চালককে বাস থামাতে বলে। কী ঘটে গিয়েছে বুঝতে পেরে চালক ও কন্ডাক্টর বাস থামিয়েই পালিয়ে যান। এ দিকে, রাস্তার ধারে পড়ে থাকা রক্তাক্ত ওই ছাত্রের প্যান্টের পকেট থেকে একটি মোবাইল পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই মোবাইল থেকে নম্বর খুঁজে বার করে সৌম্যর বাড়িতে খবর দেন এক অটোচালক। দেবব্রত ধর নামে সৌম্যর এক
|
সৌম্যকান্তি ধর। |
আত্মীয় বলেন, “ওর কাকার অপারেশনের জন্য ওর বাবা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানেই ওই অটো চালকের ফোনে জানতে পারেন ছেলের দুর্ঘটনার কথা।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, রক্তাক্ত অবস্থায় সৌম্যকে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই পড়ুয়ার বাড়ি সন্তোষপুরের অরবিন্দ রোডে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাসে কন্ডাক্টর থাকা সত্ত্বেও ঠিক কী ভাবে ওই ছাত্র বাস থেকে নীচে পড়ে গেল, তা-ও পরিষ্কার নয় তদন্তকারীদের কাছে। বাসে থাকা অন্য ছাত্রছাতারীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাসের কন্ডাক্টর তাকে চলন্ত বাসে হাঁটাহাঁটি না করে এক জায়গায় বসতে বসেছিল। কথা শোনেনি সৌম্য।
পুলিশের দাবি, ঘটনার পরে ছাত্র-ছাত্রীদের ফেলে রেখেই বাস ছেড়ে পালিয়ে যায় চালক ও কন্ডাক্টর। পরে পুলিশ গিয়ে ওই পড়ুয়াদের উদ্ধার করে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে। |
|
|
|
|
|