|
|
|
|
ত্রিফলা মামলা
|
পুরকর্তার পেনশন বন্ধ
কেন, হলফনামা তলব
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
কলকাতার রাস্তায় ত্রিফলা আলো লাগানোর ঘটনায় ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ার পরে কয়েক জন অফিসারকে তড়িঘড়ি শাস্তি দিয়েছিল পুরসভা। তাঁদেরই অন্যতম, পুরসভার প্রাক্তন ডিজি (আলো) গৌতম পট্টনায়কের অবসরকালীন প্রাপ্য ও পেনশন কেন বন্ধ রাখা হয়েছে, হলফনামা দিয়ে তা জানানোর জন্য পুর-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সম্প্রতি পুরসভার অন্তর্বর্তী অডিট রিপোর্টে ত্রিফলায় অনিয়ম প্রমাণিত হয়। ওই ঘটনায় দায় চাপিয়ে তৎকালীন ডিজি (আলো) গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই তাঁর অবসরকালীন সব ভাতা ও পেনশন আটকে রাখে পুর-প্রশাসন। গৌতমবাবু আদালতে যান। শুক্রবার বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাসের এজলাসে মামলটি ওঠে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি জানিয়ে দেন, কেন তাঁর সব ভাতা আটকে রাখা হল, দু’সপ্তাহের মধ্যে তা জানাতে হবে পুর-প্রশাসনকে।
আবেদনকারীর আইনজীবী অশোক জানা পরে বলেন, “গৌতমবাবু পুরসভার ডিজি পদমর্যাদার অফিসার ছিলেন। তিনি যা করেছেন, সবই করেছেন মেয়র, মেয়র-পারিষদ ও অন্যান্য অফিসারের অনুমোদন নিয়েই। এটাই কোর্টে জানানো হয়েছে।” অশোকবাবু জানান, জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে পরে তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। পুর-প্রশাসন কেন তাঁর অবসরকালীন প্রাপ্য এবং পেনশন দিচ্ছে না, পুরসভার কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন গৌতমবাবু। কোনও জবাব না-পেয়ে তিনি উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন।
বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস সরকারি আইনজীবী মানোয়ার আলির কাছে জানতে চান, পুরসভা পেনশন বন্ধ করতে পারে কি না। অবসরকালীন প্রাপ্য বন্ধ করা যায় না বলে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। সে-কথাও এ দিন হাইকোর্টে উল্লেখ করা হয়। সরকারি আইনজীবী বলেন, “সম্প্রতি ত্রিফলা আলো নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার অডিটে দেখা গিয়েছে, ওই সব অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রাক্তন ডিজি-র গাফিলতি রয়েছে। তিনি চাকরির আইনকানুন মানেননি। সেই কারণেই তাঁর অবসরকালীন সব ভাতা আটকে রাখা হয়েছে।” মানোয়ার জানান, ত্রিফলা নিয়ে পুরসভার তদন্তে গৌতমবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুর-প্রশাসন। এর জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত।
উচ্চ আদালতের এ দিনের নির্দেশের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেস কাউন্সিলর মালা রায় বলেন, “গৌতমবাবুর পেনশন আটকে রাখার নির্দেশ যে টিকবে না, তা জানাই ছিল। নিজেদের বাঁচাতে পুর বোর্ড এই ধরনের লোকদেখানো শাস্তির সুপারিশ করেছে।”
পুরসভা সূত্রের খবর, মহানগরে ত্রিফলা আলো লাগানোর ক্ষেত্রে আগেকার দর বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে আগের দরে ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার বরাতও। নতুন করে কাজ করতে হলে পুরসভার এন্টালি ওয়ার্কশপ থেকে বাতিস্তম্ভ এবং সেন্ট্রাল স্টোর্স থেকে ঢাকনা-সহ বাতি নিতে হবে। পরবর্তী কাজে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। |
|
|
|
|
|